অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আজকের পোস্টটিতে এসেছেন। কারণ এই তেলের বিশেষ উপকারিতা রয়েছে যা ব্যবহার করলে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের উপকার পাওয়া যায়। তবে আপনাদের চিন্তার কোন কারণ নেই। আজকের এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদের জন্য অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি সম্পর্কে আলোচনা করব।
অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি
অলিভ অয়েল তেলের ১৫টি উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আজকে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আমরা আজকের আর্টিকেলটিতে অলিভ অয়েল তেল সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই সকল কিছু জানতে শেষ পর্যন্ত পোষ্টের সাথে থাকুন।
পোস্টসূচিপত্রঃ

ভূমিকা

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করে থাকেন। তবে ভালোমতো এই তেলের উপকারিতা গুলো জানেন না। তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই আর্টিকেলে আমরা অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো তুলে ধরব। যেগুলো আপনার জেনে সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে পারবেন। অলিভ অয়েল তেল চুলে ও ত্বকে বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে যা আপনারা জানলে ব্যবহার করা শুরু করবেন। 
অলিভ অয়েল তেলে রয়েছে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক ও মুখ রোগ মুক্ত রাখে। আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে চাইলে নিয়মিত অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন। আর এ সম্পর্কে বিস্তারিত আমরা পোস্টে তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি এই সম্পর্কে জানতে চাইলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন তাহলেই সকল কিছু বুঝতে পারবেন।

অলিভ অয়েল তেলের ১৫টি উপকারিতা 

এখন আমরা অলিভ অয়েল তেলের ১৫টি উপকারিতা অর্থাৎ অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি এ সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবার জেনে নেই অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি।
  • অলিভ অয়েল মূলত জলপাইয়ের তেল যেটি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এবং স্বাস্থ্যকর ভূমিকা পালন করে।
  • অলিভ অয়েল তেলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন যা আমাদের মুখে বয়সে ছাপ দূর করতে সাহায্য করতে পারে। তাই যাদের বয়সের আগেই ত্বকে বা মুখে বয়সে ছাপ পড়ে গেছে তারা নিয়মিত অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
  • তাছাড়া অলিভ অয়েল তেল ত্বকের আদ্রতা রক্ষা করতে ভালো কাজ করে থাকে। আমাদের ত্বক যখন পানি শূন্য হয়ে যায় তখন রুক্ষতা দেখা দেয়, আর এই তেল ব্যবহার করলে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে।
  • অলিভ অয়েল তেলে রয়েছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন এ ও ভিটামিন ই যা আমাদের ত্বকের সংবেদনশীল অংশ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া এটি শীতের সময় ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
  • এছাড়া অলিভ অয়েল তেল ত্বকের টিস্যু স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে যখন ত্বকের চামড়া উঠে যায় তখন এই তেল ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
  • অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারে মুখে ব্রণ পর্যন্ত প্রতিরোধ করা সম্ভব। যদি এটি সঠিক নিয়মে প্রতিদিন ব্যবহার করেন।
  • এই তেলে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান আমাদের মুখের ব্রণ সৃষ্টি হতে বাধা প্রদান করে। মুখে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় যার কারনে ব্রণ হয়ে থাকে। আর এই ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হতে বাধা প্রদান করে এই তেল , যদি আপনি এটি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে ব্রণ দূর করতে পারবেন।
  • এছাড়া এই তেল ত্বকের কোলাজেন উপাদান বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। যার ফলে ত্বক সব সময় সুস্থ থাকে। তাছাড়াও এই তেলে রয়েছে অলিক এসিড যেটি ত্বকের নতুন কোষ সৃষ্টিতে সাহায্য করতে পারে।
  • অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করার ফলে মুখের উজ্জ্বলতা বেড়ে যায় এবং মুখের ত্বক কোমল ও নরম হয়।
  • তাছাড়া এই তেল ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। অনেকেই বয়স কম হওয়ার সত্বেও ত্বকে বিভিন্ন কারণে বয়সের ছাপ দেখা দেয়। তারা এ ক্ষেত্রে বয়সের ছাপ দূর করতে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এই তেল ত্বকের ফ্রি র‍্যাডিকেল দূর করতে পারে।
  • সূর্যের আলো থেকে ত্বককে রক্ষা করতে চাইলে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি ত্বকের ওপর একপ্রকার আস্তরণ তৈরি করে রাখে যাতে সূর্যের আলো সরাসরি ত্বকে প্রবেশ না করতে পারে।
  • জানা গেছে অলিভ অয়েল তেল ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে ত্বকে যখন মেকআপ করা হয় তখন এই মেকআপ পরিষ্কার করতে আপনারা অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন। খুব ভালোভাবে কাজ করে এই অলিভ অয়েল তেল ত্বক পরিষ্কার রাখতে।
  • এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে রান্নার তেলের পরিবর্তে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করে রান্না করলে সেই খাবার খেলে অনেকটাই ৩০% স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে আসে। তাই আপনারা অলিভ অয়েল তেল দিয়ে রান্না করে খেতে পারেন।
  • শরীরের যেকোনো প্রকার রোগ মুক্ত রাখতে নিয়মিত অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
  • চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করুন। কারণে এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সহ প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ও চুল পড়া রোধ করতে পারে।
  • এক সূত্রে জানা গেছে এই অলিভ অয়েল তেল ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও অনেকটা সক্ষম। মূলত ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা কমাতে পারে।
  • অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করে রান্না খেলে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে। তাই আপনারা যথাসম্ভব অলিভ অয়েল তেল রান্নায় ব্যবহার করুন।
  • তাছাড়াও দেখা গেছে অলিভ অয়েল তেল আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে।
তাহলে আশা করছি আপনারা অলিভ অয়েল তেলের ১৫ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলেন। এখন আপনারা সঠিক নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করুন অনেক ধরনের উপকার এর থেকে পাবেন।

চুলে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি

আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন চুলে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি। আর এখন আমরা এ সম্পর্কেই আলোচনা করব। আমরা প্রায় চুলের সমস্যায় পড়ে থাকি। বিশেষ করে অনেকেরই চুল পড়ে যায়। চুল পড়া রোধের অনেক ধরনের তেল খুঁজে থাকে কিন্তু সঠিক ফলাফল পায় না।তারা অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি চুলের স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।
অলিভ অয়েল তেল রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সহ পুষ্টিকর উপাদান যেটি চুলের গোড়া মজবুত রাখতে ও চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। আপনারা যদি এটি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে চুল পড়া রোধ করতে পারবেন। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবার জেনে নেয়া যাক চুলে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা গুলোঃ
  • অলিভ অয়েল তেল চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
  • তারাও চুলের ব্লাড সার্কুলেশন বাড়াতেও অলিভ অয়েল তেল বেশ কার্যকরী। এতে করে চুলের স্বাস্থ্য বজায় থাকে।
  • অলিভ অয়েল তেলে থাকা এক প্রকার উপাদান রয়েছে যেটি চুলের বৃদ্ধি প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
  • তাছাড়াও চুলে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করার ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং চুল পড়া অনেকটা কমে যায়।
  • জানা গেছে চুলে অলিভ অয়েল তেল চুলকে শুষ্ক রাখতে পারে এবং চুলের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
  • এছাড়াও অলিভ অয়েল তেলের তৈলাক্ত বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি চুলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
  • অলিভ অয়েল তেল নিয়মিত চুলের ব্যবহার করলে চুল ঘন রাখতে ও চুলের কালার ঘন কালো  রাখতে সাহায্য করে।
  • তাছাড়া এটি চুলের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে এবং চুলে খুশির সমস্যা দূর করতে পারে। যাদের চুলে খুশকি হয় তারা অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
আশা করছি আপনারা চুলে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা গুলো জানতে পারলেন। এই অয়েল তেল নিয়মিত চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধ করা যায় এবং চুল উজ্জ্বল রাখা যায়। তাই আপনারা চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে নিয়মিত অলিভ অয়েল তেল নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করুন।

ত্বকে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা

আপনারা হয়তো এতক্ষণ চুলে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা গুলো জানতে পারলেন। তাছাড়াও প্রথমে আপনারা অলিভ অয়েল তেলের ১৫ টি উপকারিতা জেনে গেছেন। সেখান থেকে আপনারা বুঝে গেছেন অলিভ অয়েল তেল কতটা উপকারী। আর এটি ত্বকের জন্যও বেশ উপকার করে থাকে। এখন আমরা ত্বকে অলিভ তেলের উপকারিতা কি কি সেগুলো আলোচনা করব।ত্বকের সুরক্ষায় অলিভ অয়েল তেল খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 

কারণ এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান যেটি ত্বকের কোমলতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে এবং ত্বক রোগমুক্ত রাখে। তাছাড়া এটি ব্যবহারে ত্বকে বয়সের ছাপ দূর হয়।অলিভ অয়েল তেল নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে এবং উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়। ত্বকের টিসুগুলোকে রক্ষা করতে অলিভ অয়েল তেল খুবই উপকারী। তাই এটি নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া এই তেল ব্যবহারে ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা যায় এবং ত্বক মশ্চারাইজার রাখতে সাহায্য করে।

মুখে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা

মুখে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা অনেক। কারণ এই তেল ব্যবহার করার ফলে মুখে ব্রণ দূর করা যায়। অলিভ অয়েল তেলের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটি মুখের ব্রণ তৈরি করে এমন ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে পারে। তাই আপনারা যদি সঠিক নিয়মে মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করেন তাহলে ব্রণের হাত থেকে রক্ষা পাবেন এবং অতি সহজেই মুখের ব্রণ দূর করতে পারবেন। এর জন্য আপনাদের মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম জানতে হবে।আমরা পরের অংশে মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম আলোচনা করব।

মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম

আপনারা অনেকেই মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম জানতে চেয়েছেন। আমরা সেই সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। কারণ মুখে অলিভ অয়েল তেল সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায় বিশেষ করে ত্বকের ও মুখের ব্রণ দূর করা যায়। এজন্য মুখে সঠিক নিয়মে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে হবে আর এজন্যই আপনাদের মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম জানতে হবে। চলুন কথা না বাড়িয়ে এবার শুরু করা যাক মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্ক।

প্রথমে আপনাকে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এজন্য আপনি হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। তারপর মুখ শুকিয়ে গেলে সামান্য পরিমাণ অলিভ অয়েল তেল তুলার সাথে লাগিয়ে মুখে ম্যাসাজ করতে থাকুন। ভালোভাবে মুখে লাগানো হয়ে গেলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে ব্যবহার করলে মুখে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুনঃ
তাছাড়াও আপনারা ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য একটি ডিমের কুসুমের সাথে এক চামচ অলিভ অয়েল তেল এবং দুই ফোঁটা লেবুর রস নিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এবার মিশ্রণটি আপনার মুখের উপর ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ফেসপ্যাক লাগানো হয়ে গেলে কমপক্ষে ২০ মিনিট মুখে রেখে দিন। এরপর ফেসপ্যাক শুকিয়ে যাওয়ার পর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার মুখের ত্বক কোমল ও নরম হবে এবং আদ্রতা বজায় থাকবে।

আপনারা চাইলে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করে মুখের ব্রণ দূর করতে পারেন। এর জন্য আপনি দুই চামচ লবনের সাথে তিন চামচ অলিভ অয়েল তেল মেশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে পারেন। এবার মিশ্রণটি মুখের ওপর পাঁচ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। তারপর ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। এভাবে এক থেকে দুই সপ্তাহ ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের ব্রণ অনেকটা কমে আসবে। তাহলে আপনারা মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম জানতে পারলেন।

ত্বকের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো

অনেকেই জানতে চান ত্বকের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো। অলিভ অয়েল তেল সাধারণত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কারণে অনেক ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ
  • এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েল
  • আনফিল্টার্ড অলিভ ওয়েল
  • রিফাইন্ড অলিভ ওয়েল
  • ভার্জিন অলিভ ওয়েল
সাধারণত এই চার ধরনের অলিভ অয়েল তেল রয়েছে। জলপাই থেকে সর্বপ্রথম যেই তেল তৈরি করা হয়েছে সেটি হল এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। এটি সাধারণত বাকি অলিভ অয়েল তেলের থেকে কিছুটা ভিন্ন। আর জানা গেছে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েল তেল ত্বকের জন্য ভালো। বিশেষ করে ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ত্বকের স্বাস্থ্যে এক্সট্রা ভার্জিন অলিম অয়েল ব্যবহার করে আসছে।

অলিভ অয়েল তেল সম্পর্কিত কিছু জিজ্ঞাসা ও প্রশ্ন উত্তর(FAQ)

মুখে কি অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ অবশ্যই , মুখে আপনারা অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার মুখে ব্রণ দূর করতে পারবেন।

সবচেয়ে ভালো অলিভ অয়েল কোনটি?
উত্তরঃ সবচেয়ে ভালো অলিভ অয়েল হলো এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। এটি বর্তমানে অধিক জনপ্রিয় এবং ভালো অলিভ অয়েল তেল নামে পরিচিত।

চুলে অলিভ অয়েল তেল দিলে কি হয়?
উত্তরঃ চুলে অলিভ অয়েল তেল দিলে চুলের শুষ্কতা ভাব দূর করা যায় , চুল পড়া রোধ করা যায় , চুলের আদ্রতা বজায় রাখতে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন।

মুখে কি অলিভ অয়েল লাগানো উচিত?
উত্তরঃ হ্যাঁ আপনারা অবশ্যই মুখে অলিভ অয়েল তেল লাগাতে পারেন। তবে সঠিক নিয়মে লাগাতে হবে। এর জন্য আপনাদের অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম জানতে হবে। তাই মুখের ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অলিভ অয়েল তেল লাগানো উচিত।

অলিভ অয়েল কি ত্বক ফর্সা করে?
উত্তরঃ অলিভ অয়েল তেল ত্বক সরাসরি ফর্সা করে না , তবে আপনার ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে পারে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে।

অলিভ অয়েল কি চুল পড়া কমায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ অবশ্যই , সঠিক নিয়মে অলিভ অয়েল তেল চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়া কমানো যায়।

শেষ কথা

তাহলে প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আপনারা অলিভ অয়েল তেলের ১৫ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলেন এবং ভালোভাবেই অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি এ সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। তাছাড়াও চুলে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম জানতে পেরেছেন। এতে করে আপনারা অতি সহজেই চুল পড়া রোধ করতে পারবেন এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারবে।।আপনাদের পরিচিতদের অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি এ সম্পর্কে জানাতে পোস্টটি শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url