রসুনের ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

আমরা অনেকে রসুন খেয়ে থাকি। তবে এই রসুনের উপকারিতা গুলো অনেকেই ভালোমতো জানিনা। তাদের জন্য আজকের পোস্টটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের পোস্টটিতে আমরা আপনাদের জন্য রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই রসুনের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক আপনারা যদি রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা সহ রসুন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে এখনি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন তাহলে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পোস্টসূচিপত্রঃ

ভূমিকা

রসুন একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং স্বাদযুক্ত উপাদান যা হাজার হাজার বছর ধরে রন্ধনসম্পর্কীয় এবং ঔষধি উভয় কাজেই অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়া রসুন আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। বিশেষ করে এটি নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় তাছাড়া অনেক ধরনের উপকার আমাদের করে থাকে যা আপনারা জানলে প্রতিদিন খেতে শুরু করবেন। 

তাই আপনাদের জন্য আজকে আমরা রসুন খাওয়ার উপকারিতা, রসুন কেন খাবেন, নিয়মিত রসুন খেলে কি হয়, কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা সহ সকল গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলো আলোচনা করব। রসুন সম্পর্কিত সকল কিছু জানতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। আর রসুনের বিশেষ উপকারিতা গুলো আমরা পোস্টে তুলে ধরব যার ফলে আপনারা উপকারিতাগুলো জেনে রসুন খেতে শুরু করবেন।

রসুন খাওয়ার উপকারিতা 

আপনার অনেকে জানেন না রসুন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। রসুন আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার করে থাকে যা অনেকে জানেন না। উপকারগুলো জানতে পারলে আপনারাও রসুন খেতে শুরু করবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে উপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক।

রসুনে রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ধরনের উপকার করে থাকে। রসুন এ সাধারণত রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি 6 এবং সেলেনিয়াম সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এই পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। যা আমার একটু পরে জানতে পারবো। রসুনে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
রসুনের সাধারণত কিছু যৌগের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শরীরের ক্ষত বা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।রসুন ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতা বাড়ায় যা শরীরকে সংক্রমণ এবং অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে রসুন চমৎকার ভাবে কাজ করে। রসুন শরীরে রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রাখতে সহায়তা করে। যা হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমায়। রসুন খেলে দেহে ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
এছাড়া রসুন খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থের জুস উৎপাদনে উদ্দীপিত করতে পারে যার ফলে আমাদের হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।রসুন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অধিক উপকারী। দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত রসুন খাওয়ার ফলে কাশি, সর্দি এবং ব্রঙ্কাইটিসের মত রোগ থেকে নিরাপদে থাকা যায়।

এছাড়া রসুন কোলেস্টেরল মাত্রা কমিয়ে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।এখন আমরা রসুন খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারব।

রসুনের ১০টি উপকারিতা | রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনারা হয়তো এখন রসুনের বিশেষ উপকারিতা গুলো জানতে চাচ্ছেন। আর এজন্য আমরা এই অংশে রসুনের দশটি উপকারিতা সম্পর্কে তুলে ধরব। রসুন আমাদের শরীরে কি কি উপকার করে সে সম্পর্কে জানতে এই অংশটি ভালো করে পড়ুন। চলুন কথা না বাড়িয়ে এবার শুরু করা যাক রসুনের উপকারিতা সম্পর্কে।
  • আপনারা যদি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে নিয়মিত রসুন খেতে পারেন। কারণ রসুনে রয়েছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে সহায়তা করে।
  • তাছাড়া রসুন শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। যাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ বা নিম্ন রক্তচাপ সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত রসুন খেতে পারেন তাহলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারবেন।
  • শরীরের ত্বককে উজ্জিবিত রাখতে রসুন খুবই কার্যকরী। কারণ এটি খাওয়ার ফলে বয়সের ছাপ দূর করতে ও ত্বক সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি আপনি এটি নিয়মিত গ্রহণ করেন তাহলে ত্বকের সুস্থতা বজায় থাকবে।
  • এছাড়াও জানা গেছে রসুন খাওয়া হলে হাড়ের ক্ষয় রোধ করা যায় এবং দেহের হাড়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে এই রসুন। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে হাড় দুর্বল হয়ে গেলে রসুন খেতে পারেন , এতে করে হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
  • নিয়মিত রসুন খাওয়া হলে রক্ত পরিশোধন রাখা যায় অর্থাৎ দেহের রক্ত পরিষ্কার রাখতে রসুন খেতে পারেন। তাছাড়া রসুন রক্ত চলাচলের সাহায্য করতে পারে।
  • আপনাদের যদি ফুসফুসের সমস্যা হয়ে থাকে, বিশেষ করে ঠান্ডা লাগার কারণে ফুসফুসের সংক্রমণ হয়ে থাকে। এ সময় আপনারা রসুন বেটে রস খেলে ফুসফুসের সংক্রমণ দূর হয়ে যায়।
  • এছাড়াও গবেষণা জানা গেছে রসুন হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। তাই যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত রসুন খেতে পারেন।হজম শক্তি অনেকটা বেড়ে যাবে।
  • তাছাড়াও যাদের বয়সের আগে চুল পাকার সমস্যা রয়েছে। তারা নিয়মিত রসুন খেতে পারেন এর ফলে চুল পাকা অনেকটা কমে আসবে।
  • আপনাদের শরীরে যাদের কৃমির সমস্যা রয়েছে তারা কৃমি দূর করতে রসুন খেতে পারেন। রসুন সাধারণত কৃমিনাশক হিসাবে ভাল কাজ করে।
  • দেহের রক্তসঞ্চালন ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে রসুন খেতে পারেন। রসুন দেহের রক্ত চলাচল ও রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। কারণ রসুনে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান ও ভিটামিন যা আমাদের শরীরের উপকার করে থাকে।
আশা করি আপনারা ভালোভাবেই রসুনের উপকারিতা গুলো জানতে পারলেন। এখন আপনাদের অবশ্যই রসুনের অপকারিতা গুলো জানতে হবে যেগুলো আমরা পরের অংশে আলোচনা করব।

রসুন খাওয়ার অপকারিতা | রসুনের অপকারিতা | রসুনের ক্ষতিকর দিক

পৃথিবীর সকল কিছুরই উপকারিতা এবং তার পাশাপাশি অপকারিতাও রয়েছে। তেমনি ভাবে রসুন খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে। তবে অপকারিতার চেয়ে উপকারিতাই বেশি।চলুন জেনে নেওয়া যাক রসুনের অপকারিতা অর্থাৎ রসুনের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
  • কিছু কিছু লোকের রসুন খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা অর্থাৎ অস্বস্তি অনুভব হতে পারে। এর ফলে পেট ফাঁপা, ফুলে যাওয়া এবং পেট ফাঁপা হওয়ার মতো উপসর্গ গুলো দেখা দিতে পারে।
  • রসুনে রয়েছে তীব্র সালফার যৌগ যা তীব্র গন্ধযুক্ত খাওয়ার ফলে মুখে রসুনের তীব্র গন্ধ এবং শরীরে গন্ধ হতে পারে যা অনেকের কাছে বিরক্তিকর মনে হতে পারে।
  • এছাড়া রসুন খাওয়ার ফলে অনেকের এলার্জি হতে পারে। তাই যাদের এলার্জি রয়েছে রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার ফলে পেটের আলসার বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ব্যাধিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে লক্ষণগুলিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
  • এছাড়া অতিরিক্ত রসুন খেলে গ্যাসের সমস্যা, বমি ভাব, মাথা ব্যথা সহ ও ডাইরিয়াও হতে পারে। এছাড়া দেহের অনেকের এলার্জি সমস্যা হতে পারে আবার ত্বকে জ্বালাপোড়া অনুভব হতে পারে।
  • অধিক পরিমাণে রসুন খেয়ে ফেললে যকৃতে বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কারণ রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন উপাদান যেটি যকৃতে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তাই সঠিক পরিমাণে রসুন খাবেন।
  • তাছাড়া আপনারা যদি সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খেয়ে থাকেন তাহলে ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। কারণ রসুনে রয়েছে সালফার উপাদান যেটি অধিক পরিমাণে খেলে পেটে গ্যাস উৎপন্ন হতে পারে এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারে।
  • বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার ফলে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে। দৃষ্টি শক্তি অনেকটা কমে যেতে পারে। তাই সঠিক নিয়মে সঠিক মাথায় রসুন খাবেন।
  • এছাড়াও গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে রসুন না খাওয়াই ভালো। কারণ এ সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • আমরা সকলে জানি রসুন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে , তবে এই রসুন যদি অধিক পরিমাণে খেয়ে ফেলেন তাহলে এটি অধিক রক্তচাপ কমে যাওয়ার ফলে মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • তাছাড়া রসুন খাওয়ার ফলে মুখে দুর্গন্ধ দেখা দেয়। যা অনেকের পছন্দ হয় না। কারণ রসুন রয়েছে সালমার জাতীয় উপাদান এটি মুখে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে।
তাহলে আপনারা রসুনের অপকারিতা ও রসুনের ক্ষতিকর দিকগুলো জানতে পারলেন। এর ফলে আপনারা অতি সহজেই সঠিক নিয়ম মেনে রসুন খেতে পারবেন।

কাঁচা রসুন খাওয়ার নিয়ম | রসুন খাওয়ার নিয়ম

আপনার অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন কাঁচা রসুন খাওয়ার নিয়ম কি। এখন আমরা কাঁচা রসুন খাওয়ার নিয়ম ও রসুন খাওয়ার নিয়ম জানব। চলুন জেনে আসি।
  • আপনি যদি আগে কখনো কাঁচা রসুন খেয়ে না থাকেন তবে ধীরে ধীরে অল্প পরিমাণে কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • তাজা রসুন অনেক শক্তিশালী এবং স্বাদযুক্ত। রসুনের খোসা তুলে ফেলুন এবং রসুনের সঙ্গে লবঙ্গ গুঁড়ো করে মিশ্রণ করুন, যা রসুনের অনেক স্বাস্থ্য উপকার বাড়িয়ে তোলে। রসুনকে চূর্ণ করা, কাটা বা কিমা করাও এর স্বাদ বাড়াবে যা অধিক উপকারী।
  • কাঁচা রসুনকে সালাদ, সালসা বা স্প্রেডের মতো খাবারে সাথে যোগ করুন যাতে এর গন্ধকে আরও সুস্বাদু করা যায়।
  • হজমে সাহায্য করতে এবং এর উপকারী যৌগগুলিকে আরও বেশি করে মুক্ত করার জন্য কাঁচা রসুনকে ভালোভাবে চিবিয়ে খাবেন।
  • কাঁচা রসুন আপনি প্রতিদিন সকালে এক থেকে দুই কুয়া খেতে পারেন। এতে শরীরে অনেক উপকার পাবেন।
  • কেউ যদি ক্রমাগত 15 সপ্তাহ ধরে কাঁচা রসুন খান, তাহলে তাদের সর্দি-কাশি এবং ফ্লু-এর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়।

কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা

রসুন খাওয়ার উপকারিতা পাশাপাশি কাঁচা রসুন খাওয়ার কিছু উপকারিতা রয়েছে যা আমরা এখন জানতে পারবো। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
  • কেউ যদি একটানা প্রতিদিন ১৫ সপ্তাহ ধরে কাঁচা রসুন খায়, তাহলে তাদের সর্দি কাশি এবং ফ্লু এর মত রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বেড়ে যায়।
  • এছাড়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলে আপনার হজম শক্তিকে বৃদ্ধি এবং হজম প্রক্রিয়া ভালোভাবে চলতে সাহায্য করে।
  • নিয়মিত কাঁচা রসুন খাওয়ার ফলে হার্টের সুস্থ, হৃদ রোগ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, সর্দি কাশি, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগ নিরাময় করা যায়।

খালি পেটে রসুন খেলে কি হয় | খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

খালি পেটে রসুন খেলে কি হয় অনেকে জানতে চেয়েছেন। তাই আমরা খালি পেটের রসুন খেলে কি হয় উক্ত বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
  • খালি পেটে রসুন খেলে আমাদের শরীরে ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
  • এছাড়া খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে দেহের কোলেস্টেরল এবং শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
  • রসুন কোলেস্টেরল মাত্রা কমিয়ে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। রসুন খেলে দেহে ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
তবে খালি পেটে রসুন খেলে কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে । যা নিচে বিস্তারিত করা হলো।
  • কিছু ব্যক্তির জন্য, খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে হজমের অস্বস্তি হতে পারে। এতে পেট খারাপ, ফোলা বা ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
  • যাদের গ্যাসের অর্থাৎ পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যা রয়েছে তারা খালি পেটে রসুন খেলে পেটের ভেতর জ্বালাপোড়া করতে পারে।
  • এছাড়া খালি পেটে অতিরিক্ত রসুন খেলে পেটের ভেতর এসিড অম্লতা হতে পারে যা এসিডিটির কারণ হতে পারে।
আপনারা তাহলে উপরে খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। খালি পেটে রসুন খেলে কি হয় এগুলো জেনে সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়া শুরু করুন ভালো পুষ্টিগুণ পাবেন।

নিয়মিত রসুন খেলে কি হয়?

নিয়মিত রসুন খেলে কি হয় এ সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত জানতে পারবো। নিয়মিত রসুন খেলে এর কিছু উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের জানা দরকার।নিয়মিত রসুন খাওয়ার সাথে রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। এটি হৃদরোগের ভাল স্বাস্থ্যে অবদান রাখতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। নিয়মিত রসুন খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যা শরীরকে সংক্রমণ এবং অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে।

নিয়মিত এক থেকে দুই কুয়া রসুন খেলে শরীরে অনেক উপকার হয়। যেমনঃ মনস্তাত্ত্বিক চাপ কম, হৃদপিণ্ড হার্টবিট ক্যালকুলেশন করতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম।রসুন কোলেস্টেরল মাত্রা কমিয়ে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। রসুন খেলে দেহে ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।তাহলে আপনারা জানতে পারলেন নিয়মিত রসুন খেলে কি হয়। 

রসুনের পুস্টি উপাদান

আপনারা অনেকে রসুনের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানতে চান। রসুনে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ যে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। চলুন এবার আমরা রসুনের পুষ্টি উপাদান কি কি সেগুলো জেনে নেই।

রসুনের পুষ্টিকর উপাদান

উপাদানের % বা গ্রাম

কার্বোহাইড্রেট

০.২ গ্রাম

প্রোটিন

০.২ গ্রাম

ম্যাঙ্গানিজ

২%

ক্যালোরি

৪.৫ গ্রাম

ভিটামিন বি ৬

২%

ফাইবার

০.০৬ গ্রাম

ভিটামি সি 

১%

সেলেনিয়াম

১%

রসুন সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর(FAQ)

রাতে ঘুমানোর আগে কাঁচা রসুন খেলে কি হয়?
উত্তরঃ রাতে ঘুমানোর আগে কাঁচা রসুন খেলে বিশেষ করে যাদের এজমা রয়েছে বা নিউমোনিয়া রোগ রয়েছে তারা এই রোগের সমস্যা দূর করতে পারবেন। এছাড়া যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।
প্রতিদিন রসুন খেলে কি ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ প্রতিদিন রসুন খেলে ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আপনারা এতক্ষণে রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে গেছেন। তাছাড়া আরো জানতে পেরেছেন রসুন খাওয়ার নিয়ম ও রসুন খেলে কি হয় এ সম্পর্কে। আপনারা যদি নিয়মিত রসুন খান তাহলে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাবেন যা আমরা আজকের পোস্টটিতে আলোচনা করে বুঝিয়ে দিয়েছি। 

রসুন অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় খেতে হবে। অধিক পরিমাণ রসুন খেলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে , এমনকি স্বাস্থ্য ঝুঁকি পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। তাই রসুনের ভালো গুনাগুন এবং উপকারিতা পেতে রসুন খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী রসুন খাবেন। আপনার বন্ধুদের বা পরিচিতদের রসুনের উপকারিতা সম্পর্কে জানাতে পোস্টটি শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url