পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস ও ইনপুট ডিভাইস গুলো কি কি

আপনারা অনেকেই জানেন পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস। আবার অনেকেই এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না তাদের জন্যই আজকের পোস্টটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমার আজকের পোস্টটিতে আপনাদের সুবিধার জন্য পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস ও ইনপুট ডিভাইস গুলো কি কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই আপনারা যদি পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইসে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

কম্পিউটার বিভিন্ন ধরনের ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস রয়েছে। যার মধ্যে পেনড্রাইভ ডিভাইসটি অন্যতম। আর এই পেনড্রাইভ ডিভাইস সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব। তাই পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস এ সম্পর্কে জানতে পোস্টটি পড়ুন।

পেনড্রাইভ সাধারণত এক প্রকার মেমোরি যেখানে আপনি তথ্য বা ডাটা স্টোর করে রাখতে পারবেন। আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য বা ডেটা সংরক্ষণ করতে পারবেন এই পেনড্রাইভের মাধ্যমে। অতি সহজেই পেনড্রাইভের মাধ্যমে আপনারা তথ্য স্থানান্তর বা শেয়ার করতে পারবেন। তবে অনেকেই আছে যারা আমাদের কাছে একটা প্রশ্ন করে থাকেন সেটি হল পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস। 

আর আমরা এ সম্পর্কেই আজকের পোস্টটিতে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাছাড়া আপনারা আরও জানতে পারবেন ইনপুট ডিভাইস গুলো কি কি এ সম্পর্কে। পেনড্রাইভকে ইনপুট নাকি আউটপুট ডিভাইস বলা হয় এ সম্পর্কে জানতে পোস্টটি পড়ে নিন। তাহলে আপনারা জানতে পারবেন পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস ।

পেনড্রাইভ মূলত মেমরি বা স্টোরেজ যেখানে ডেটা বা তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা যায়। তাছাড়া এটি ডেটা বা ফাইল ট্রান্সফার করতেও ব্যবহার করা হয়। আপনারা যদি এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ফাইল ট্রান্সফার করতে চান তখন সেটি পেন ড্রাইভের মাধ্যমে সংরক্ষণ করে স্থানান্তর করতে পারবেন। এটি দেখতে অনেকটা পেনের মতো অর্থাৎ কলমের মতো এজন্য একে পেনড্রাইভ বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে ফাইল সংরক্ষণের জন্য পেনড্রাইভ বহুল ভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

আর এটি অধিক জনপ্রিয় একটি ডিভাইস। পেনড্রাইভ এর ফাইল ট্রান্সফার করার ক্ষমতা অনেক বেশি অর্থাৎ দ্রুত গতি সম্পন্ন ভাবে ডাটা ট্রান্সফার করা যায়। পেনড্রাইভ গুলি ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভের সাহায্যে কম্পিউটারে সংযোগ করা হয় এবং ডাটা সংরক্ষণ বা ট্রান্সফার করা যায়। তবে আপনারা জানতে চান যে পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস এ সম্পর্কে আমরা আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব।

আমরা হয়তো সকলে পেনড্রাইভ এর নাম বলেছি এবং ব্যবহার করে আসছি। তবে একটা জিনিস কখনো খেয়াল করে দেখেছেন যে পেনড্রাইভকে কি ধরনের ডিভাইস বলা হয়। এটি কি আউটপুট ডিভাইস নাকি ইনপুট ডিভাইস এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা এই অংশে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করব। পেনড্রাইভ এক প্রকার ডিজিটাল মেমোরি বা স্টোরেজ যেখানে তথ্য বা ফাইল সংরক্ষণ করা যায় এবং ট্রান্সফার করা যায়।

আপনারা হয়তো সকলে জানেন পেনড্রাইভের মাধ্যমে কম্পিউটারের ডাটা ট্রান্সফার অথবা ডাটা ইনপুট করা যায়। তাহলে একে এক কথায় বলা যায় ইনপুট ডিভাইস। আবার আরেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এই পেনড্রাইভে কম্পিউটার থেকে ফাইল সংরক্ষণ করা যায় অর্থাৎ কম্পিউটার থেকে আউটপুট ফাইলগুলো স্টোর করা যায় আর এজন্য একে আউটপুট ডিভাইসও বলা যায়। তাহলে আপনারা নিঃসন্দেহে বলতে পারেন যে পেনড্রাইভ হল ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস।

পেনড্রাইভ একই সাথে কম্পিউটারের ফাইল বা ডাটা ইনপুট করতে পারে , আবার আউটপুট ডাটা সংরক্ষণ করা যায় এই পেনড্রাইভে। এর জন্য আমরা পেনড্রাইভকে একই সাথে ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস বলতে পারি। তাহলে আপনারা বুঝতে পারলেন পেনড্রাইভ মূলত ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস।

বিভিন্ন সময়ে আপনারা একটি প্রশ্ন করে থাকেন সেটি হল পেনড্রাইভ এর কাজ কি। আজ আমরা এই পাঠে পেনড্রাইভ এর কাজ কি এ সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা হয়তো উপরের অংশে পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে এসেছেন। তবে আপনার এখন পেনড্রাইভ কি কি কাজ করে এ সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।পেন ড্রাইভ এর কাজঃ

• পেনড্রাইভের মাধ্যমে যেকোনো ফাইল বা ডাটা অতি সহজে ট্রান্সফার করা যায়।
• পেনড্রাইভ হলো একই সাথে আউটপুট ও ইনপুট ডিভাইস।
• কম্পিউটারে পেনড্রাইভের মাধ্যমে তথ্য ইনপুট দেওয়া যায়।
• আবার কম্পিউটারের আউটপুট দেওয়া তথ্য বা ফাইল আউটপুট হিসেবে পেনড্রাইভের সংরক্ষণ করা যায়।
• পেনড্রাইভের সাহায্যে আপনারা যে কোন তথ্য একে অপরের সাথে আদান প্রদান করতে পারবেন।
  
• আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দীর্ঘদিন ধরে পেনড্রাইভের সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
  
• যেকোনো ধরনের তথ্য খুব দ্রুত স্থানান্তর করা যায়।
  
• পেনড্রাইভ আপনার কম্পিউটারের ডাটা সঞ্চয় করতে পারে।
  

যে সকল ডিভাইসের মাধ্যমে যেকোনো তথ্য বা ফাইল কম্পিউটারে ইনপুট হিসেবে দেওয়া যায় তাদেরকে ইনপুট ডিভাইস বলা হয়। মূলত যে ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটারে কোন তথ্য বা ডেটা ইনপুট দেওয়া যায় তাকে ইনপুট ডিভাইস বলা হয়। কম্পিউটারের সাধারণত অনেক ধরনের ইনপুট ডিভাইস রয়েছে। আর এই ইনপুট ডিভাইস গুলোর কাজ ভিন্ন ভিন্ন। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবার আমরা জেনে নেই ইনপুট ডিভাইস গুলোর নামঃ

তাহলে আপনারা উপরে কয়েকটি ইনপুট ডিভাইসের নাম জানতে পারলেন। উক্ত ইনপুট ডিভাইস গুলো কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় ,যার সাহায্যে কম্পিউটারে তথ্য ইনপুট দেওয়া যায়। আপনার হয়তো সকলেই মাউসের নাম শুনেছেন। এটি ব্যবহার করে কম্পিউটারে যে কোন অবজেক্ট সিলেক্ট করা যায় এবং মাউসের পয়েন্টার দিয়ে কম্পিউটারে সকল কাজ করা যায়। কম্পিউটারে কোন কিছু নির্বাচন করার জন্য মাউস ব্যবহার করা হয়। মাউসের তীর চিহ্ন নড়াচড়া করা যায়।

আর আমরা সকলেই কম্পিউটারের কিবোর্ড এর সাথে পরিচিত। এটি অধিক জনপ্রিয় এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনপুট ডিভাইস। এটির সাহায্যে লেখালেখি করে তথ্য ইনপুট দেওয়া যায়। লেখালেখির কাজে কিবোর্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কম্পিউটার কিবোর্ড ব্যবহার করে লেখা যায় এবং সেগুলো কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা যায়। আর এজন্য কিবোর্ড হল ইনপুট ডিভাইস। মূলত যে সব ডিভাইস কম্পিউটারে ইনপুট তথ্য দিতে পারে তাদেরকে ইনপুট ডিভাইস বলা হয়।

পেনড্রাই মূলত ইনপুট ও আউটপুটে কাজ করতে পারে। তাই এজন্য পেনড্রাইভকে আউটপুট এবং ইনপুট ডিভাইস বলা হয়। পেনড্রাইভ দিয়ে আপনারা কম্পিউটারে ফাইল অথবা তথ্য ইনপুট দিতে পারবেন। এজন্য এটি ইনপুট ডিভাইস। আবার যে কোন ধরনের আউটপুট তথ্য পেনড্রাইভে সংরক্ষণ করা যায়, এজন্য একে আবার আউটপুট ডিভাইস বলা হয়।

আপনার হয়তো অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন পেনড্রাইভ কি ধরনের মেমোরি। পেনড্রাইভ মূলত এক ধরনের ইউএসবি মেমোরি। তাহলে বুঝতে পারলেন পেনড্রাইভকে পোর্টেবল ইউএসবি মেমরি স্টোরেজ বলা হয়। এখানে আপনারা প্রয়োজনীয় তথ্য বা ফাইল সহ যেকোন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে পারবেন। তাছাড়াও এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে অতি সহজেই ডাটা ট্রান্সফার করতে পারবেন।

আপনারা কি জানেন পেনড্রাইভ এর অপর নাম কি। পেনড্রাইভ কে সাধারণত ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ বলা হয়ে থাকে। তাহলে সে ক্ষেত্রে বলা যায় পেনড্রাইভ এর অপর নাম পোর্টেবল ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ। আর পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস এ সম্পর্কে আপনারা হয়তো জেনেই গেছেন।

পেনড্রাইভ এক প্রকার ইলেক্ট্রিক্যাল ডিভাইস অর্থাৎ বলতে গেলে এটি হলো ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ যেটিতে তথ্য আদান প্রদান এবং স্থানান্তর করা যায়। তাছাড়া ও পেনড্রাইভে ডাটা ট্রান্সফার সহ ফাইল সংরক্ষণ করা যায়। পেনড্রাইভের হয়েছে অসংখ্যা আইসি(IC)। যেটি মূলত ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট বলা হয়ে থাকে।

ভারতের সেরা পেনড্রাইভ কোন কোম্পানির এ সম্পর্কে হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না। ভারতের সেরা পেনড্রাইভ কোম্পানি হল কিংস্টন(kingston)। যার অন্যতম কারণ হলো এই কোম্পানির পেনড্রাইভ গুলো অনেক উন্নত মানের হয়ে থাকে। তাছাড়াও উক্ত পেনড্রাইভ অনেক দ্রুত সম্পন্ন ডাটা ট্রান্সফার করতে পারে এবং দীর্ঘদিন টেকসই হয়ে থাকে। এজন্য ভারতের সেরা পেনড্রাইভ কিংস্টন কোম্পানিকে বলা হয়।

আপনারা যদি ভালো মানের একটি পেনড্রাইভ কিনতে চান তাহলে অবশ্যই বাজেট বাড়াতে হবে। আপনারা যদি ভাল পেনড্রাইভ কিনতে চান তাহলে কিংস্টোন , সেনডিক্স, transend কোম্পানির পেনড্রাইভ কিনতে পারেন। আর অবশ্যই পেনড্রাইভের ভার্সন USB 3.2 Gen 1 হতে হবে।

পেনড্রাইভ সাধারণত ৮ ,১৬ ,৩২ ,৬৪ ,১২৮ ,২৫৬ জিবি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে অত্যাধুনিক কোম্পানিগুলো 2 Terabyte পর্যন্ত ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন পেনড্রাইভ তৈরি করছে। তাহলে বলা যায় পেনড্রাইভে সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা হলো ২ টেরাবাইট।

পেনড্রাইভ সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। পেনড্রাইভ মেটাল অথবা প্লাস্টিকের হতে পারে। এখানে বলা যায় মেটাল পেনড্রাইভ দীর্ঘস্থায়ী টেকসই হয়ে থাকে। তবে প্লাস্টিকের গুলো বর্তমানে ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। তবে এগুলো ক্ষয় হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি। তাই আপনারা মেটাল ফ্রেমের পেনড্রাইভ গুলো কিনতে পারেন। যেগুলো হাতের থেকে পড়ে গেলেও সুরক্ষিত থাকবে।

আশা করছি আপনারা পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস ও ইনপুট ডিভাইস গুলো কি কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আজকের পোস্টটিতে জানতে পেরেছেন। আপনারা হয়তো সকলেই বুঝে গেলেন পেনড্রাইভ মূলত আউটপুটে সাথে সাথে ইনপুট ডিভাইস বলা যায়। আর ইনপুট ডিভাইস কয়টি রয়েছে এবং কি কি এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। 

আর উপরে আপনারা ১০টি ইনপুট ডিভাইসের নাম বাংলায় জানতে পেরেছেন। আপনার পরিচিতদের পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস এ সম্পর্কে জানাতে পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। আর নতুন নতুন ধরনের তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।