প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার সেরা ১৫টি নতুন উপায় জেনে নিন

আপনাদের মধ্যে অনেকেই মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজে দেখেন। তাদের জন্যই আমরা আজকের আর্টিকেলটিতে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই আপনি যদি মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং উপায় গুলো অনুসরণ করুন।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
বন্ধুরা আপনার নিশ্চয়ই মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার সেরা ২০টি উপায় লিখে সার্চ করে আজকের পোস্টটি খুঁজে পেয়েছেন যদি পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই মাসে ২০ হাজার টাকা কিভাবে আয় করা যায় তার উপায় গুলো জানতে পারবেন।
পোস্টসূচিপত্র

ভূমিকা

বর্তমানে অনেক যুবক চাকরি না পাওয়ার কারণে বাড়িতে বেকার বসে থাকে। যার ফলে দেশে প্রতিনিয়ত বেকারত্ব সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আপনারা যারা বসে আছেন তারা অযথা সময় নষ্ট না করে অনলাইন এর মাধ্যমে ঘরে বসে মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশে বহু যুবক ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে এছাড়াও তারা ফ্রিল্যান্সিং এর পাশাপাশি আরো অনেক উপায় অবলম্বন করে টাকা আয় করছে। 

আপনারাও আয় করতে পারবেন শুধু তার জন্য আয়ের পথগুলো সম্পর্কে জানা অবশ্যক। কোন কোন উপায়ে আপনি আয় করতে পারবেন তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলে আশা করি ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করা সেরা দশটি   উপায় ।

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

ব্লগিং করে আয়

বর্তমানে আয় করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে ব্লগিং করা। এটি একটি সহজ এবং স্মার্ট পেশা ইনকাম করার জন্য। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে সেখানে আপনি ব্লগিং করে প্রচুর আয় করতে পারবেন। তার জন্য থাকতে হবে আপনাকে ব্লগিং সম্পর্কে জ্ঞান। বর্তমানে ব্লগিং শেখার অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে মূলত ব্লগিং সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান দেওয়া হয় এবং টাকা ইনকাম করার পথ দেখানো হয়। 

ব্লগিং মূলত আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকবে সেখানে আপনি আপনার ইচ্ছা মতো যে কোন বিষয় নিয়ে লিখতে পারেন। আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটে পোস্টগুলো মানুষ পড়লে আপনার ইনকাম হবে। এর জন্য অবশ্যই ব্লগিং কিভাবে করতে হয় এবং কিভাবে করা যায় তা সম্পর্কে জানতে হবে।

অনলাইন ট্রেডিং করে ইনকাম

বর্তমানে অনলাইন ট্রেডিং করে আয় করা জনপ্রিয় একটি কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রেডিং করার জন্য কিছু দক্ষতা ও এক্সপেরিয়েন্স থাকতে হয়। তবে আপনাকে এখানে মূলত আগে ইনভেস্ট করতে হয়। আপনারা যারা ইনভেস্ট করতে চান তারা অনলাইন ট্রেডিং প্লাটফর্মে ইনভেস্ট করতে পারেন। তবে আগে থেকে বলে রাখছি ট্রেডিং করার জন্য ভালোভাবে ধারণা ও জ্ঞান থাকতে হবে , 

তা না ছাড়া আপনারা ট্রেডিং করে আয় করতে পারবেন না। আর যদি আপনার ভালো ধারণা থাকে তাহলে আপনি মাসে অনায়াসে ৫০ হাজার টাকার উপরে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে ইউটিউবে ফ্রিতে ট্রেডিং শেখা যায়। আপনারা সেখান থেকেই ফ্রিতে ট্রেডিং শিখতে পারবেন।

এসইও করে আয় | অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন

আপনারা ওয়েবসাইট এসইও করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। এখানে মূলত ওয়েবসাইটকে  সার্চ ইঞ্জিনে ভালো অবস্থানে তুলতে হয়। একে এসইও বলা হয়। বর্তমানে এই সেক্টরের কাজের চাহিদা বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে আপনারা এ ধরনের কাজ করতে পারবেন। বিশেষ করে বর্তমানে বিদেশীরা এ ধরনের কাজ বেশি করিয়ে থাকে। 
আপনি যদি এসইও সেক্টরে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অতি সহজেই মাসে বিশ হাজার টাকার উপরে আয় করতে পারবেন। আপনারা চাইলে এসইও বিনামূলাই শিখতে পারবেন। বর্তমানে ইউটিউবে এসইও সম্পর্কে বিভিন্ন ফ্রি কোর্স দেওয়া থাকে সেগুলো আপনারা করতে পারেন। তাছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এসইও কোর্স করিয়ে থাকে তাদের কাছ থেকে শিখতে পারেন। আর ভালোমতো শিখে আপনারা অনলাইন থেকে অতি সহজেই আয় করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়

বর্তমানে অনলাইন থেকে আয় করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেল এ ভিডিও আপলোড করে আয় করা। আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে সেখান থেকে আপনি নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে ওই ভিডিও মানুষকে দেখিয়ে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন। তবে অবশ্যই এই আয় করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্রাফিক বা ভিজিটর আপনার চ্যানেলে দরকার হবে। তারপর ইউটিউবের নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করলে এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করার মাধ্যমে ইউটিউব থেকে অনায়াসে মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

ভিডিও এডিটিং

আপনি যদি ভিডিও এডিটিং করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করে কোন ব্যাপার না বরং এর থেকে আরও বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা অনেক বেশি। কম বেশি সকল ডিজিটাল কোম্পানি এই ভিডিও এডিটিং করার ক্লায়েন্ট খুঁজে থাকে। যাতে করে ভিডিও এডিট করে মার্কেটিং করা যায়। 
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং পারেন তাহলে অনায়াসে যেকোন মার্কেটপ্লেস থেকে ২০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। তবে একটা কথা মনে রাখা উচিত আপনাকে অবশ্যই ভিডিও এডিটিং এ দক্ষতা থাকা লাগবে।

মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান

আপনি যদি একটি মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই এর থেকে আপনি মাসের ৩০ হাজার টাকা থেকেও বেশি আয় করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি। আর এই ডিজিটাল যুগে যতদিন যাবে মোবাইল ব্যবহারকারী সংখ্যা তত বেড়ে যাবে। মোবাইল যেহেতু ইলেকট্রনিক জিনিস সেটি যেকোনো সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর মোবাইল নষ্ট হলে মানুষ মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকানে গিয়ে ঠিক করে অর্থাৎ সারিয়ে নেয়।

ফুলের দোকান থেকে আয়

বর্তমানে ফুলের ব্যবহার বহুলভাবে বেড়ে গেছে। তাই আপনি যদি একটু ফুলের দোকান দিতে পারেন তাহলে আপনি অনায়াসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে ফুল মানুষের উপহার দেওয়ার একটি নিত্য প্রয়োজনীয় গিফট হিসেবে দাঁড়িয়েছে। আর যদি বড় কোন বিয়ের ফুলের অর্ডার পান তাহলে তো অনেক টাকা আয় করতে পারবেন তা বলা সম্ভব না। আপনার হয়তো নিজে বুঝে গেছেন ফুলের দোকান দিয়ে কত টাকা আয় করা যায়।

ডে কেয়ার সেন্টার

আপনি যদি একটি ডে-কেয়ার সেন্টার খুলতে পারেন তাহলে অনায়াসে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কারন অনেকেই কাজের চাপে অফিসে থাকাকালে তাদের বাচ্চাদের ডে-কেয়ার সেন্টারের রাখতে পছন্দ করে। তাদের বাচ্চাদের দেখাশোনা করার জন্য ডে-কেয়ার সেন্টারে রেখে যায়। তাহলে আপনি যদি ডে-কেয়ার খুলতে পারেন তাহলে অবশ্যই এখান থেকে আয় করতে পারবেন।

ফলের দোকান থেকে আয়

আপনি যদি একটি ফলের দোকান দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি এখান থেকে প্রতিমাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তবে ফলের দোকানটি অবশ্যই জনসমাগম এলাকায় হতে হবে। তাহলে আপনি অনায়াসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

দর্জির দোকান

বর্তমানে দর্জির দোকান দিয়ে অনেকেই মাসে ২০ হাজার টাকার বেশি আয় করছে। কারণ বর্তমানে কাপড় কেনার চাহিদা বেড়ে চলছে আর এই কাপড় বানানোর জন্য দর্জির প্রয়োজন হয়। তাই আপনি যদি একটি জনবহুল এলাকায় দর্জির দোকান দিতে পারেন তাহলে আপনি অনায়াসে টাকা আয় করতে পারবেন। বিশেষ করে বর্তমানে মেসের মেয়েরা কাপড় বানাতে বেশি পছন্দ করে ফলে আপনি মেয়েদের কাপড় বানিয়ে দর্জি দোকান দিয়ে আয় করতে পারবেন।

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় ও নিয়ম

অনলাইনে বই বিক্রি করে আয়

আপনি অনলাইন প্লাটফর্মে বই বিক্রি করে অতি সহজেই মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। শুধু এর জন্য আপনার থাকতে হবে অনলাইন প্লাটফর্মে একটি ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট। যাতে আপনি বইয়ের বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনার বই বিক্রি করতে পারবেন।

আর্টিকেল রাইটিং করে আয়

বর্তমানে সবচেয়ে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সহজ মাধ্যম ও জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং করা। আর্টিকেল রাইটিং করে আপনি অনায়াসে মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য জব প্রদান করে থাকে। আপনি চাইলে তাদের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে অতি সহজে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি চাইলে অর্ডিনারি আইটিতে(ordinaryit.com) আর্টিকেল রাইটিং করে অনায়াসে টাকা করতে পারেন।

ট্যুর গাইড হিসেবে আয়

আপনি ট্যুর গাইড হিসেবে চাকরি করে অনায়াসে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে দর্শনীয় স্থানে থাকতে হবে এবং সেখানে ট্যুর গাইড হিসেবে চাকরি করতে হবে। আপনি বিদেশ থেকে আসা পর্যটন বা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে আসা মানুষজনকে গাইড করে আয় করতে পারবেন।

ওয়েব ডিজাইনিং করে আয়

আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন এ পারফেক্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি যেকোন কোম্পানিতে ওয়েব ডিজাইন এর চাকরি করে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডিজাইন এর চাহিদা অনেক বেশি। আপনি মার্কেটপ্লে বিভিন্ন দেশের কোম্পানিতে ওয়েব ডিজাইন এর চাকরি করে অনায়াসে বিশ হাজার থেকেও লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

লেখকের শেষ কথা

আশা করছি আপনারা তাহলে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনেছেন। জানতে পারলে হবে না এর সম্পর্কে কিছু ধারণা রাখতে হবে। আপনি যদি আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই যেকোনো একটি বিষয় সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করে কাজ করে যেতে হবে তাহলেই আপনি আয় করতে পারবেন। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করুন এবং অন্যদের আয় করতে সাহায্য করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url