ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনার নিশ্চয়ই ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে আজকে পোস্টটিতে এসেছেন। তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন।ই ক্যাপ এর বহু উপকারিতা রয়েছে যা আমরা আজকের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবো। আপনি যদি ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা
পোস্টসূচিপত্রঃপ্রিয় বন্ধুরা, আপনার হয়তো অনেকেই জানেন ই ক্যাপ এর উপকারিতা কতখানি যা বলে শেষ করা যাবে না। তবে আজকের পোস্টটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের ই ক্যাপ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।

ভূমিকা

আমাদের শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে ই ক্যাপ এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।ই ক্যাপকে সাধারণত ভিটামিন ই ক্যাপসুল বলা হয়ে থাকে। এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনারা ভিটামিনের জন্য ব্যবহার করতে পারেন আবার শরীরে যে কোন অংশে উপকারের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এই ই ক্যাপ আমাদের চুলের যত্নে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও মুখের ব্রণ দূরীকরণে এই ই ক্যাপসুল অধিক ভাবে কার্যকরী। আপনারা বিভিন্নভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন তা আমরা এই পোস্টটিতে আলোচনা করার চেষ্টা করব।

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা

গবেষণায় দেখা গেছে ই ক্যাপ ক্যাপসুল এরা অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আপনি ব্যবহার করলে বুঝতে পারবেন। আর এই সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব। প্রত্যেক ঔষধ অথবা উপাদানেরই উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো দিক রয়েছে। আমরা এই দুটো দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করব। চলুন আমরা এবার জেনে নিই ই ক্যাপ এর বিভিন্ন উপকারিতা গুলোঃ

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে

ই ক্যাপ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কারণ এতে রয়েছে এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মূলত ত্বককে সতেজ রাখতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া মুখের ব্রণের দাগ দূর করতে এটি ব্যবহার করতে পারেন। আমরা অনেক সময় ঘরের বাইরের রোদে কাজ করতে যাই ফলে আমাদের মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলি। 

এই উজ্জলতা ফিরিয়ে আনতে আপনারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে লাগিয়ে অথবা ফেসবুক বানিয়ে মুখের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে পারেন। এছাড়া প্রতিদিন অথবা সপ্তাহে তিন থেকে পাঁচ দিন আপনারা রাতে ই ক্যাপ এ থাকা জেল এর ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখের ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। দেখবেন আপনার মুখে ব্রণ ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাচ্ছে।

চুলের যত্নে ই ক্যাপ

চুলের যত্নে ই ক্যাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চুল পড়া বন্ধ করতে আপনার ই ক্যাপ অর্থাৎ ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে চুলের গোড়া মজবুত করতে ও চুল সিল্কি রাখতে ই ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। আপনার এটি নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহারের তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন নারিকেল তেল অথবা যে কোন চুলে ব্যবহারকৃত তেলের সাথে ই কাপের জেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিবেন। 
আরো পড়ুনঃ পালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
এভাবে এক মাস অথবা দুই মাস ব্যবহার করুন। ধীরে ধীরে দেখবেন আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং আপনার চুল সুন্দর হচ্ছে অর্থাৎ আপনার চুল মজবুত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া আপনারা বাহ্যিক ব্যবহারে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন।

হার্ট সুস্থ রাখতে ই ক্যাপ

বর্তমানে চিকিৎসকের গবেষণায় দেখা গেছে ই ক্যাপ হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে বহু উপকারী। তাই আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ই ক্যাপ খেতে পারেন।ই ক্যাপ আপনি ৪০০ IU থেকে ৮০০ IU খেতে পারেন যা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। ফলে আপনার হার্টের সমস্যা ভালো ফলাফল পাবেন এবং হাট সুস্থ থাকবে।

শারীরিক শক্তি ও যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে ই ক্যাপ 

আমরা সকলে জানি ই ক্যাপ ভিটামিন ই জাতীয় ঔষধ। এটি আমাদের দেহের শারীরিকতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমাদের দেহে ভিটামিন ই এর পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘাটতি পূরণ করে। মানবদেহের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।ই ক্যাপ নিয়মিত খাওয়া হলে মানবদেহে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে যৌন শক্তি বৃদ্ধি অথবা এই ক্যাপ সেক্সে উপকার করে থাকে।

বয়সের ছাপ দূর

মানুষের সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে ত্বককে কুচকে যাওয়া অথবা মুখে বিভিন্ন বলিরেখা দেখা দেওয়া এসব একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণ করেন অথবা সেবন করেন তাহলে আপনার এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আপনি এটি রাতে ঘুমানোর আগে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ই ক্যাপ জেল মুখের ওপর আলতোভাবে ভালো করে লাগিয়ে রাখবেন। তারপর এক ঘন্টা পর মুখটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন। 

এভাবে ব্যবহার করতে থাকুন ভালো ফলাফল পাবেন। এছাড়াও আপনারা আপনার ব্যবহৃত নাইট ক্রিম এর সাথে এটি মিশিয়ে রাত্রে ব্যবহার করতে পারেন। সারারাত মুখে লাগিয়ে রাখবেন এবং সকালে উঠে পরিস্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে আপনার বয়সের ছাপ দূর হয়ে যাবে এর সাথে সাথে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ও ত্বকের কুচকে যাওয়া দূর হবে।

ক্রিম হিসেবে ই ক্যাপ

আপনারা যারা রাত্রে নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন তাদের জন্য ই ক্যাপ মিশিয়ে নাইট ক্রিম ব্যবহার করা সবচেয়ে উপকারী। কারণে এই ই ক্যাপ ত্বক মশ্চারাইজিং করতে সহায়তা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত নাইট ক্রিমের সাথে এটি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার শুষ্ক ত্বক মশ্চারাইজিং হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।

ক্ষত সারাতে ই ক্যাপ

আপনার ত্বকে কোন স্থানে কেটে গেলে ক্ষত হয়ে গেলে তা শুকাতে অথবা ক্ষত নিরাময় করতে ই কাপের উপকারিতা বহুল। আপনার যদি শরীরে কোন ক্ষত হয়ে থাকে তাহলে আপনি সেটি নিরাময় করতে প্রতিদিন একটি করে ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। ফলে আপনার ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে উঠবে এবং আপনি ক্ষত থেকে নিরাময় পাবেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে

আমরা সকলে জানি ভিটামিন ই ক্যাপ আমাদের শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে। আমাদের শরীরে যখন ভিটামিনের অভাব দেখা যায় তখন শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুখ দেখা দেয়। যা হওয়ার অন্যতম কারণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই আপনি নিয়মিত ই ক্যাপ খেতে পারেন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে। এতে থাকা ভিটামিন আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক এর মত কাজ করে এবং এতে রয়েছে এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে রোগ জীবাণু থেকে রক্ষা করে।

নখের ভঙ্গুরতা রুখতে ই ক্যাপ

আপনারা যারা প্রতিদিন বাইরে অথবা ঘরে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে গিয়ে নখের ভঙ্গুরতা দেখা দেয় তাদের জন্য ই ক্যাপসুল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আপনারা আপনার ভঙ্গুর নখের উপর তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন। তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন। প্রতিদিন এই ভিটামিন ই ক্যাপ তেল ভেঙে যাওয়া নখে মালিশ করলে ভালো ফলাফল পাবেন।

দীর্ঘস্থায়ী ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ই ক্যাপ

আপনারা যারা ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ই ক্যাপ খেতে সেবন করতে পারেন। বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে। তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ২০০ IU পাওয়ারের ই ক্যাপসুল খেতে পারেন।

রোদের ক্রিম হিসেবে ই ক্যাপ

আমারও যারা বাইরে রোদে কাজ করি তাদের অনেক সময় রোদে পুড়ে শরীর বা ত্বক কালো হয়ে যায়। তাদের কালো দাগ দূর করতে ই ক্যাপ খুবই উপকারী। ই ক্যাপে থাকা মশ্চারাইজিং ক্ষমতা শরীরের ত্বককে মশারাইজিং করতে সাহায্য করে। ফলে খুব সহজেই রোদে পোড়া কালো দাগ থেকে দূরে থাকা যায়। আপনি এটি আপনার ব্যবহৃত যে কোন ক্রিমের সাথে মিশিয়ে রোদে কাজ করতে পারেন। যা আপনার মুখ ও ত্বককে রোদের পোড়া থেকে রক্ষা করবে।

ভিটামিন ই এর অভাব

যাদের শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব হয়েছে তারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। অবশ্যই ভিটামিন ই খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা। কারণ এটি একটি ওষুধ জাতীয় ক্যাপসুল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।

থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে ই ক্যাপ

আমরা সকলে জানি ভিটামিন ই আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। আর এই ভিটামিন ই রয়েছে ই ক্যাপ ক্যাপসুলে। থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন ই ক্যাপসুল চমৎকারভাবে উপকারী। নিয়মিত এটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

ই ক্যাপ কেন খায়? 

ই ক্যাপ মূলত ভিটামিন ই ক্যাপসুল যা আমাদের শরীরের ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করার জন্য আমরা খেতে পারি। এছাড়াও এটি শরীরের দুর্বলতা দূর করার জন্য আপনারা খেতে পারেন। বিশেষ করে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এটি অধিক কার্যকরী। গবেষণায় দেখা গেছে ই ক্যাপ খেলে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি সহ যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। 

তাই আপনারা যাদের যৌন সমস্যা রয়েছে অথবা সেক্সে সমস্যা রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অথবা সেক্সে ই ক্যাপ খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জেনে খাবেন। আপনারা সবাই জানেন সেক্সে রসুনের উপকারিতা কি তবে আপনারা রসুনের পাশাপাশি সেক্স বৃদ্ধিতে ই ক্যাপ খেতে পারেন। এতে অবশ্যই পেশাদার এক্সপার্ট এর কাছে পরামর্শ নিবেন।

ই ক্যাপ এর অপকারিতা

আমারে হয়তো এতক্ষণে ই ক্যাপের উপকারিতায় জেনে এসেছি। তবে এটি অতিরিক্ত খাওয়া হলে কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে অপকারিতা অথবা সাইড ইফেক্ট এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। চলুন আমরা জেনে নেই।
  • অত্যাধিক পরিমাণ ই ক্যাপ গ্রহণ করলে কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে এলার্জি হতে পারে।
  • অতিরিক্ত ই ক্যাপ সেবন করলে আমাশয় রোগ দেখা দিতে পারে।
  • তাছাড়াও এটি অধিক পরিমাণে খাওয়ার ফলে আপনার মাথা ব্যথা হতে পারে।
  • অনেক সময় এটি অধিক সেবন করলে বমি ভাব দেখা দেয়।
  • যারা গর্ভবতী মায়ের রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে ই ক্যাপ না খাওয়াই ভালো। খেলেও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
  • এছাড়াও কোন কোন সময় অধিক পরিমাণে সেবন করলে ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
ই ক্যাপের তেমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অথবা অপকারিতা নেই বলতে গেলে। যদি না আপনারা অধিক পরিমাণে খান। অধিক পরিমাণে গ্রহন করলে কি সমস্যা হবে তা আপনারা দেখতে পেলেন। তবে অপকারের চেয়ে উপকারিতায় বেশি।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি মোটা হয়?

ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করতে আমরা খেতে পারি। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে এটি খেলে কি ওজন বাড়ে অথবা মোটা হয়। না, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে মোটা হয় না বরং শরীরে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি হয়। এবং শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। পাশাপাশি শরীরের চাহিদা পূরণ করে শরীর সুস্থ রাখে। যেহেতু শরীর ভালো রাখে তাহলে হলেও একটু শরীর মোটা হয়ে যেতে পারে। তবে এর কোন সঠিক তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

ই ক্যাপ ক্যাপসুল কিভাবে খেতে হয়?

ই ক্যাপ খাওয়ার কোন বিশেষ নিয়ম নেই। আপনারা যেমন ট্যাবলেট অথবা ওষুধ পানি দিয়ে গিলে খান। তেমনি ভাবে আপনি এটি প্রতিদিন অথবা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ওষুধের মত পানি দিয়ে গিলে খেতে পারেন। আবার আপনি এটি ভেতরে জেল বের করে পানি ছাড়াও খেতে পারেন। সুস্থতা বজায় রাখতে ই ক্যাপ খুবই উপকারী। এছাড়াও আপনার মুখের ব্রণ অথবা চুলের গোড়া মজবুত করতে এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো?

বলতে গেলে বাংলাদেশ যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল গুলো রয়েছে সবগুলোই ভালো। তবে এর মধ্যে থেকে অরজিনালি ক্যাপসুল খাওয়া ভালো। কারণ বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের নকল ওষুধ তৈরি করে আসছে তাদের থেকে সাবধান থাকতে অরজিনাল ই ক্যাপ চিনে তারপর কিনে খাবেন। তবে  সাধারণত বাংলাদেশ জনপ্রিয় কয়েকটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল হল  ই-ক্যাপ ৪০০, ই-ভিট,ই ক্যাপ ২০০ IU এবং ই-জেল ইত্যাদি।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

আপনার অনেকেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তবে এটি খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে যাতে আপনারা ভালো উপকার পাবেন। চলুন সেই নিয়মগুলো জেনে নেই।
  • গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া একদম উচিত নয়। অবশ্য ১৮ বছরের বেশি গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে এটি খাওয়া যেতে পারে বিশেষ করে গর্ভঅবস্থায় শেষের দিকে প্রতিদিন ১০০০ m.g করে খেতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল শিশুদের ক্ষেত্রে নিরাপদ, যদি আপনি সঠিক পরিমাণে খাওয়ান। অতিরিক্ত খেলে ক্ষতি হতে পারে। তাই এক থেকে তিন বছর শিশুদের ক্ষেত্রে 300 IU খাওয়াতে পারেন। আবার 9 থেকে 14 বছর শিশুদের জন্য 450 IU। আর ১৮ বছরের উপরে হলে 1200 IU খাওয়াতে পারেন।
  • যাদের ব্লিডিং ডিসঅর্ডার রোগটি রয়েছে তাদের কখনোই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া যাবেনা।
  • যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তাদের ক্ষেত্রে কম পরিমাণে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। বেশি পরিমাণ খেলে তাদের ক্ষেত্রে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা 400 IU এর পরিমাণ ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন।
  • এছাড়া যাদের নেক ক্যান্সার রয়েছে তাদের একদমই ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া উচিত নয়। তবে কম পরিমাণে 400 IU গ্রহণ করতে পারেন।

ই ক্যাপ কখন খেতে হয়

ই ক্যাপ কখন খেতে হয় এরপর নির্দিষ্ট সময় নেই। আপনি যেকোনো সময় খেতে পারেন। তবে কোনো কারণ ছাড়া খাওয়া দরকার নেই। এছাড়াও আপনি এটি বাহ্যিক স্বাস্থ্যের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। যেমন চুলের স্বাস্থ্যের ও মুখের ব্রণ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া যখন দেখবেন আপনার শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব দেখা দিছে তখন আপনারা ভিটামিন ই ক্যাপ খেতে পারেন। এছাড়া এর কোন আলাদা সময় নেই।

ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা

ই ক্যাপ ৪০০ এর তেমন বিশেষ উপকারিতা নেই। তবে কিছু উপকারিতা রয়েছে যা আমার এখন বিস্তারিত আলোচনা করব।
  • আপনার চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ই ক্যাপ 400 ব্যবহার করতে পারেন।
  • চুল পড়া রোধ করতে ব্যবহার করতে পারেন।
  • মাথার চামড়ায় তেলের সরবরাহ ঠিক রাখতে ব্যবহার করতে পারেন।
  • চুলের গোড়া মজবুত করতে ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন।
  • শরীরে এনার্জির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • শরীরের রক্তচাপ ও হাটের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
  • এছাড়া ই ক্যাপ ৪০০ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
  • ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে ই ক্যাপের উপকারিতা চমৎকার।
  • এছাড়াও আপনার চোখকে সুস্থ রাখতে ই ক্যাপ 400 খেতে পারেন।
  • যাদের নার্ভের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা অধিক।

ই ক্যাপ এর দাম কত

আপনারা অনেকেই ই ক্যাপ এর দাম কত এ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা এখন তা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। বর্তমানে প্রতি পিস ই ক্যাপ ২০০UI ট্যাবলেট এর দাম ৫ টাকা। আর আরেকটি পাওয়া যায় যার প্রতি পিস ই ক্যাপ এর দাম সাধারণত ১০ টাকা করে। এছাড়া ৪০০UI ই ক্যাপ এর দাম ৭ টাকা করে। তবে আপনি যদি একপাতা হিসেবে নেন। এক পাতায় থাকে ১০টি। সেটি নিলে আপনার ৪০ টাকা পড়বে(২০০UI)।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা ই ক্যাপ এর সকল উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এই ক্যাপসুল এ এ উপকারিতায় বেশি। তবে একটা কথা মনে রাখা উচিত বেশি খেলে কিন্তু বেশি উপকার পাওয়া যায় না। সঠিক পরিমাণ খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। হ্যাঁ আর অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। আশা করছি আর্টিকেলটা ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই ই ক্যাপ এর গুনাগুন জানাতে পোস্টটি শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url