ব্যাকলিংক কি - ব্যাকলিংক পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

আপনার কি আপনার ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক বাড়াতে চান। ব্যাকলিংক সাধারণত আপনার ওয়েবসাইটকে রেংকিং এ পৌঁছাতে সাহায্য করে। আপনার ওয়েবসাইট রেংকিংয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাকলিংক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যত হাই কোয়ালিটির ওয়েবসাইট থেকে ব্যাংকিং পাবেন তত আপনার ওয়েবসাইট রেংকিং এ যাওয়া সম্ভবনা বেশি। আজকের পোস্টটিতে আপনারা ব্যাকলিংক কি এবং ব্যাকলিংক পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।
ব্যাকলিংক কি
আপনারা কি জানেন ব্যাকলিংক কি, ব্যাকলিংক আপনারা ওয়েবসাইটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কারণ আপনার ওয়েবসাইটে ব্যাকলিঙ্ক থাকলে অনায়াসে যে কোন পোস্টকে র‍্যাঙ্ক করাতে পারবেন গুগলের প্রথম পেজে। আজকে আমরা ব্যাকলিংক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ব্যাকলিংক কি - What is Backlink

ব্যাকলিংক মূলত ওয়েবসাইট রেংকিং করার জন্য মূল ফ্যাক্টর। তবে ব্যাকলিংক সম্পর্কে জানার আগে আপনাদের আগে লিংক কি এ সম্পর্কে জানতে হবে। লিংক মূলত দুই প্রকার।
  • ইন্টার্নাল লিংক (Internal Link) 
  • এক্সটার্নাল লিংক (External Link)
ইন্টার্নাল লিংক (Internal Link) 

ইন্টার্নাল লিংক হল কোন পোস্টে নিজের ওয়েবসাইটের অন্য কোন পোষ্টের লিংক যুক্ত করা। অর্থাৎ ধরুন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে কোন পোস্ট লিখলেন সেখানে ওই পোস্টের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটে আরেকটি পোস্টের লিংক জুড়ে দিলেন সেটি হল ইন্টার্নাল লিংক হিসেবে গণ্য হবে।

এক্সটার্নাল লিংক (External Link)

এক্সটার্নাল লিঙ্ক হল একটি ওয়েবসাইটে কোন পেজের সঙ্গে বা পোস্টের সঙ্গে অন্য একটি ওয়েবসাইটের পোস্টের লিঙ্ক করা এটি হলো এক্সটার্নাল লিংক। ধরুন আপনি একটি পোস্ট লিখলেন আপনার ওয়েবসাইটে সেখানে পোস্টটিতে আপনি অন্য একটি ওয়েবসাইটের যেকোন পোষ্টের লিঙ্ক আপনার পোস্টের মধ্যে করলেন আর এটি হল এক্সটার্নাল লিঙ্ক। এক কথায় অন্য ওয়েবসাইটে কোন পোস্ট বা পেজের লিংক করাকে এক্সটার্নাল লিঙ্ক বলে।

এবার মূল কথায় ফিরে আসে আমরা যে ব্যাকলিংক কি। মূলত এখানে এক্সটার্নাল লিংকে ব্যাকলিংক বলা হয়ে থাকে। ধরুন আমি এই পোস্টে শীতকালের সবজি চাষ এই লিংকটি করলাম। আপনি যদি এই লিংকে ক্লিক করেন তাহলে আপনি ওই ওয়েবসাইটে অন্য পোস্টে চলে যাবেন আর এভাবেই এটি ব্যাকলিংক নামে পরিচিত। ব্যাকলিংক মূলত দুই প্রকারঃ
  • Dofollow Backlink
  • Nofollow Backlink 

ব্যাকলিংকের গুরুত্ব 

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাকলিংক হল একটি বিষয় যা গুগলে একটি ওয়েবসাইটের অবস্থানকে রাংকে নিয়ে যায়। একটা সময় ছিল যখন একটা ওয়েবসাইট মাত্র তিনটি ব্যাকলিংক দিয়ে র‌্যাঙ্ক করা যেত। যাইহোক, এপ্রিল 2012 সালে, Google পেঙ্গুইন নামক তার অ্যালগরিদমে একটি আপডেট চালু করে। এই আপডেট থেকে, আপনি আর নিম্নমানের ব্যাকলিংক দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটকে র‌্যাঙ্ক করতে পারবেন না। 

পরিবর্তে, আপনি Google-এর কাছ থেকে শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন। অতএব, ব্যাকলিংক তৈরি করার সময়, আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে সেগুলি উচ্চ মানের এবং ভাল ডোমেইন এবং সাইট হতে হবে। ওয়েবসাইটে হাই কোয়ালিটির ব্যাকলিংক করলে যে সুবিধা পাওয়া যায় তা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
  • ওয়েবসাইটের পোস্টকে দ্রুত ইনডেক্স করাতে পারবেন।
  • ওয়েবসাইটের পোস্ট গুগলের প্রথম পেজে রেংক করাতে পারবেন।
  • ওয়েবসাইটে আগের থেকে ভালো ট্রাফিক আসবে।
  • ওয়েবসাইটে ক্লিকের হার এবং ইম্প্রেশন বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
  • ওয়েবসাইটের ডোমেনইন অথরিটি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
  • আপনার ওয়েবসাইট গুগলের কাছে বিশ্বস্ত মনে হবে।
  • সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক পাওয়া যাই।

Backlink কিভাবে পাবেন - ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায়

এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ব্যাকলিংক কি এবং ব্যাকলিংক কত প্রকার এ সম্পর্কে সম্পর্কে জানতে পারলাম। এখন এই Backlink কিভাবে পাবেন এবং ব্যাক লিঙ্ক তৈরির করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। ব্যাক লিঙ্ক অনেকভাবে নেওয়া যায়। তবে ব্যাকলিংক নেওয়ার সবচেয়ে অন্যতম মাধ্যম হলো পেইড ব্যাকলিংক। 

বর্তমানে এটি খুবই চলছে। তবে পেইড ব্যাকিংলিংক নেওয়ার আগে অবশ্যই যে ওয়েবসাইট থেকে নিবেন সে ওয়েবসাইটের পেজ অথরিটি এবং ওয়েবসাইটটি লিংকিং বেশি থাকতে হবে। যে ওয়েবসাইটের ডোমেন অথরিটি কম সেখান থেকে বেকিংলিংক নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। ব্যাকলিংক তৈরি করার অনেক উপায় রয়েছে যার মধ্যে জনপ্রিয় মাধ্যম বা উপায় গুলি তুলে ধরা হলোঃ

হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট (Recommended)

ব্যাকলিংক পাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হল আপনি যদি নিয়মিত উচ্চ-মানের কনটেন্ট প্রকাশ করেন তবে অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলি ব্যাকলিংক দিবে। মানসম্পন্ন বিষয়বস্তু প্রকাশ করতে, আপনার অবশ্যই প্রতিটি বিষয়ের উপর গভীর জ্ঞান থাকতে হবে। এই বিষয় কেউ কন্টেন্ট লেখার সময় Google এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে। আপনার বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ধারনা সংরক্ষণ করে আপনার বিষয়ে সঙ্গে লিংক দিবে৷ এইভাবে ভিজিটর পাবেন৷ বড় ওয়েবসাইটগুলি একে অপরের সাথে এইভাবে লিঙ্ক করে থাকে।

গেস্ট পোস্ট বা পেইড পোস্ট

বর্তমানে ব্যাকলিংক পাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হল গেস্ট পোস্ট বা পেইড পোস্ট করা। এটি মূলত অন্য ওয়েবসাইটে পোস্ট লিখে পোস্টের মধ্যে আপনার যেকোন পোস্ট এর লিংক যুক্ত করে সেই ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা। তবে এর জন্য অন্য ওয়েবসাইটের মালিকেরা ফ্রেশ কনটেন্ট দাবি করে থাকে অনেক সময় আবার টাকাও নিয়ে থাকে।

ডিরেক্টরি সাবমিশন

এখানে মূলত কোন ওয়েবসাইটের তথ্য ভান্ডারে আপনার ওয়েবসাইটের তথ্য জমা রাখা। অর্থাৎ এসব ওয়েব সাইটে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিতে পারেন যেটি ব্যাংকলিঙ্ক হিসেবে গণ্য হবে এবং সাধারণত এসব ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর বেশি হয়ে থাকে তাই এদের থেকে ব্যাকলিংক নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

ফোরাম পোস্ট

ফোরাম মূলত ফেসবুকের গ্রুপের মত প্রশ্ন বা উত্তর দেওয়ার মতো পোস্ট করা হয়। এখানে আপনি যে কারোর প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ব্যাকলিংক করতে পারবেন।

কমেন্ট ব্যাকলিংক

বর্তমানে সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো কমেন্ট ব্যাকলিংক। তবে কমেন্ট ব্যাকলিংক বর্তমানে গুগল স্প্যাম ধরতেছে। কারণ বেশিরভাগ মানুষ এভাবে ব্যাকলিংক করে থাকে। তবেই ব্যাকলিংক আগে করা যেত বর্তমানে এটি করা থেকে বিরত থাকবেন।

 ইমেইল আউটরিচ

সাধারণত কোন ওয়েবসাইটের পোস্ট রিভিউ দিয়ে আপনি ওয়েবসাইটের কাছে মেইল করতে পারেন। উক্ত ওয়েবসাইটটির আপনার রিভিউ পছন্দ হলে পরবর্তীতে আপনাকে ব্যাকলিংক দিতে পারে। যা হবে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যাকলিংক আদান-প্রদান

এ ধরনের ব্যাকলিংক খুবই কম করা হয়ে থাকে। তবে নতুন ওয়েবসাইট গুলো এগুলা করে থাকে। এই ব্যাকলিংক গুলো ভবিষ্যতে ওয়েবসাইট rank করতে সাহায্য করে। তাই আপনারা আমাদের সাথে ব্যাকলিঙ্ক আদান প্রদান করতে পারেন। নতুন যারা তারা এভাবে ব্যাকলিংক একে অপর থেকে আদান প্রদান করবেন।

কেন ব্যাকলিংক নেবেন বা দেবেন

আপনার ওয়েবসাইট রাংকে যাওয়ার জন্য ব্যাকলিংক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনে করেন আপনার ওয়েবসাইটের লিংক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করা রয়েছে। এর মানে বুঝতে পারছেন ওইসব ওয়েবসাইট আপনাকে ব্যাকলিংক দিচ্ছে। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইট যখন কেউ সার্চ করবে গুগল তখন আপনার ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক এর সংখ্যা চেক করে দেখবে, ব্যাকলিংক যত বেশি থাকবে গুগল র‍্যাংক (সার্চ রেজাল্টে গুরুত্ব) তত বেশি পাবে ওয়েবসাইটটি। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের গ্রহণযোগ্যতা বেশি পাবে গুগলের কাছে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা ব্যাকলিংক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনারা যত পারেন ব্যাকলিংক করবেন তাহলে দেখবেন আপনাদের ওয়েবসাইট দ্রুত সার্চ ইঞ্জিনে রেংক করছে। আপনারা আমাদের সাথেও ব্যাকলিংক আদান প্রদান করতে পারেন। এছাড়াও গেস্ট পোস্ট লিখেও ব্যাকলিংক করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইটে। । আশা করছি আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url