ডায়াবেটিস কি - ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

সাধারণত আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস হচ্ছে একটি গুরুতর অবস্থা। যখন আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস হয় তখন আমাদের শরীর নিজে নিজে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনারা অনেক কিছু জানেন না। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে ডায়াবেটিস কি - ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। সকল তথ্য জানতে মনোযোগ দিয়ে সম্পন্ন পোস্টটি পড়ুন।
ডায়াবেটিস কি - ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
যদি আমাদের ডায়াবেটিস হয় তাহলে আমাদের শরীরে শরকরা এবং গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বেড়ে যায়। সাধারণত আমরা জানি যে ইনসুলিন আমাদের শরীরের কোষগুলোতে শর্করা প্রবেশ করতে সাহায্য করে। যদি কারো ডায়াবেটিস হয় তাহলে তার শরীরে তেমন ইনসুলিন তৈরি হয় না।

ভূমিকাঃ ডায়াবেটিস কি 

সাধারণত আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস হচ্ছে একটি গুরুতর অবস্থা। যখন আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস হয় তখন আমাদের শরীর নিজে নিজে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। আমাদের ডায়াবেটিস হয় তাহলে আমাদের শরীরে শরকরা এবং গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বেড়ে যায়।

সাধারণত আমরা জানি যে ইনসুলিন আমাদের শরীরের কোষগুলোতে শর্করা প্রবেশ করতে সাহায্য করে। যদি কারো ডায়াবেটিস হয় তাহলে তার শরীরে তেমন ইনসুলিন তৈরি হয় না। এই সম্পূর্ণ পোস্টটিতে আপনি জানতে পারবেন ডায়াবেটিসের সম্পূর্ণ বিষয় সম্পর্কে।

তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর বিভিন্ন উপায়

শরীরে যখন রক্তের সব চিনি গুলোকে ভাঙতে ব্যর্থ হয় তখন একটি মানুষের ডায়াবেটিস হয়। তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানো খুব একটা সহজ কাজ নয়। তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমাতে চাইলে প্রথমে আপনার খাদ্য অভ্যাস বদলাতে হবে। যেই খাবারগুলোতে ডায়াবেটিস হয় সে খাবারগুলো পরিহার করতে হবে।, প্রচুর পরিমাণে ব্যায়াম ও শরীরচর্চা করতে হবে। হাটাহাটি, একটু দৌড়াদৌড়ি এবং সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই জরুরী।

আপনার শরীরের শর্করা জাতীয় খাবার গুলো নিয়ন্ত্রণ করুন। সাধারণত ডায়াবেটিস হলে ভাত খুব অল্প পরিমাণে খাবেন। তার কারণ ভাতে গ্লুকোজের পরিমাণ খুব বেশি থাকে। আপনি চাইলে ভাতের পরিবর্তে খাদ্য তালিকায় লাল চালের ভাত এবং লাল আটার রুটি খেতে পারেন। এগুলো আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বেশি পরিমাণে ফল ও সবুজ সবজি খাওয়া শুরু করুন। কারণ ফল ও সবুজ সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে।

আপনি আমিষের জন্য ডিম, ছোলা এবং ডাল খেতে পারেন। আপনি চাইলে মাংস খেতে পারেন কিন্তু সেটা পরিমাণ মতো। সর্বশেষ প্রধান যে কাজটি করবেন সেটি হল ব্যায়াম। ব্যায়াম ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই উপকারী। আপনার ডায়াবেটিস হলে কখনোই শুয়ে অথবা বসে থাকবেন না সবসময় শরীর চর্চা করবেন। যেমন একটু হাটাহাটি করলেন ইত্যাদি। সবশেষে যে খাবারগুলো খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায় সে খাবারগুলো পরিহার করুন।

ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় বলতে যা বোঝায় সেটি হল, আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ব্যায়াম এবং শরীর চর্চা করতে হবে। ব্যায়াম এবং শরীর চর্চা করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্যায়াম এবং শরীর চর্চার সাথে সাথে আপনি যেই কাজ করবেন কাজটি হল ফল এবং সবুজ সবজি খাবেন। ডায়াবেটিস কমানোর জন্য আপনি খুবই অল্প পরিমাণে ভাত খাবেন।

ভাতের পরিবর্তে আপনি রুটি খেতে পারেন। কোন ওষুধ ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে ডায়াবেটিস কমাতে চাইলে আপনাকে আপনার খাদ্যা অভ্যাস বদলাতে হবে। যে খাবারগুলোতে ডায়াবেটিসের পরিমাণ বেশি থাকে সেই খাবারগুলো পরিহার করতে হবে। বেশি চিনিযুক্ত খাবার অথবা তেল এবং চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। প্রতিদিন সকালে উঠে আপনি জগিং করতে পারেন।

প্রতিদিন সকালের আবহাওয়ায় হাঁটাহাঁটি এবং শরীর চর্চা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চলুন। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ শরীরে ডাইবেটিস মানুষের অনেক ভয়াবহ রোগের কারণ হতে পারে।

ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর সঠিক উপায়

ওষুধ ছাড়া ডায়াবেটিস কমানোর উপায় বলতে যা বোঝায় সেটি হল, আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ব্যায়াম এবং শরীর চর্চা করতে হবে। ব্যায়াম এবং শরীর চর্চা করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্যায়াম এবং শরীর চর্চার সাথে সাথে আপনি যেই কাজ করবেন কাজটি হল ফল এবং সবুজ সবজি খাবেন।ভাতের পরিবর্তে আপনি রুটি খেতে পারেন। কোন ওষুধ ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে ডায়াবেটিস কমাতে চাইলে আপনাকে আপনার খাদ্যা অভ্যাস বদলাতে হবে।

যে খাবারগুলোতে ডায়াবেটিসের পরিমাণ বেশি থাকে সেই খাবারগুলো পরিহার করতে হবে। বেশি চিনিযুক্ত খাবার অথবা তেল এবং চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। প্রতিদিন সকালে উঠে আপনি জগিং করতে পারেন। আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আমিষ জাতীয় খাবার খেতে হবে। আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সর্বশেষ বলা যায় ওষুধ ছাড়া ডায়াবেটিস কমানোর জন্য আপনার খাদ্যাভ্যাস বদলাতে হবে।

যে খাবারগুলোতে বেশি পরিমাণে ডায়াবেটিস হয় সে খাবারগুলো পরিহার করতে হবে। ভাজাপড়া জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। আপনার ডায়াবেটিস হলে একদম ঘরে শুয়ে অথবা বসে থাকা যাবে না। সব সময় শরীরচর্চা এবং ব্যায়াম করতে হবে নিয়মিত।

খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানোর সঠিক উপায়

সকাল হলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এমন একটি সময় যেখানে তারা সারা দিনের জন্য তাদের শরীরকে চাঙ্গা নিতে পারে। সকালে তাদের এমন একটি জিনিস খাওয়া উচিত যেটি খেলে তাদের পেট একদম ভরে যায় এবং তাদের শরীরে ধীরে ধীরে গ্লুকোজ নিঃসরণ হতে থাকে। সেই জন্য একজন ডায়াবেটিস রোগী সকালে কার্বোহাইড্রেট অথবা ফ্যাট জাতীয় খাবার খেতে পারে।

তাতে তাদের পেট ভর্তি হয়ে যাবে। এবং শরীরের গ্লুকোজ নিঃসরণ হতে থাকবে। তাতে একজন ডায়াবেটিস রোগীর দিনের শুরুটা খুব ভালোভাবে হবে। একজন ডায়াবেটিস রোগী যদি সকালে খাবারগুলো খায় তাহলে তার শরীরে সুগারের মাত্রা ঠিক থাকে। আপনার যদি ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাহলে আপনি মেয়েটির পানি খেতে পারেন।

তার জন্য আপনি রাতে ঘুমানোর আগে এক চামচ মেথি দানা পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। সকালে সেই মেথির বীজগুলো চিবিয়ে খাবেন এবং তারপর মেথির পানিটি খেয়ে নিন। এটি ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা

  • ফলমূল ও শাকসবজি।
  •  লাল চালের ভাত এবং লাল চালের রুটি।
  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।
  • দুধ এবং দুধে তৈরি বিভিন্ন খাবার। যেমন, দই অথবা দইয়ের ছানা
  • নানান ধরনের তেল ,মাখন এবং ঘি
  • আলু এবং রুটি খাওয়া
  • কার্বোহাইড্রেট অথবা শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া।
  • প্রোটিন অথবা আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া।
  • ফ্যাট এবং চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা।

ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়

ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায় হচ্ছে ব্যায়াম ও শরীরচর্চা। আপনি নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন। এটি আপনার শরীরের জন্য ভালো। আপনি পরিমাণ মতো পানি পান করতে পারেন। কারণ এই পানি আপনার শরীরকে হাইডেট রাখতে সাহায্য করে। ঘরোয়া উপায়ে ডাইবেটিস কমাতে হলে আপনাকে করোলা খেতে হবে। কারণ করলা ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আপনি চাইলে করলার মাঝখানের বিচি গুলো ফেলে দিয়ে করলার রসগুলো বের করে নিন এবং এটি পানির সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন। যদিও প্রথম প্রথমে এটি আপনার কাছে খেতে অনেক খারাপ লাগবে কিন্তু আস্তে আস্তে এটি আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। কয়েকদিন পর দেখবেন আর খেতে খারাপ লাগছে না।

আর চিনি ডায়াবেটিসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত দারচিনি রক্তের সুগার লেভেল কে কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনি দারচিনি গুঁড়ো দিয়ে চা খেতে পারেন অথবা পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। মেথি ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এক চা চামচ মেথি রাতে ঘুমানোর আগে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই মেথিতে ভিজানো পানি খেয়ে নিতে পারেন। এতে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।। তাই পরিশেষে বলা যায় ডায়াবেটিস একবারে শেষ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এটিকে কমানো যায় বা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

শেষ কথা

এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনি ডায়াবেটিস বিষয়ক মোটামুটি সকল তথ্য পেয়েছেন। যদি আমার পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। আর নিত্য প্রয়োজনে বিভন্ন সমস্যার সমাধান পেতে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url