পটাশিয়াম জাতীয় খাবার কি কি ২০২৫
তাই আপনারা চিন্তিত হবেন না আজকের পুরো আর্টিকেলে পটাশিয়াম জাতীয় খাবার কি কি ও পটাশিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। এজন্য সকলেই পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকবেন।
পটাশিয়াম কি - পটাশিয়াম জাতীয় খাবার কি কি
পটাশিয়াম জাতীয় খাবার কি কি জানার আগে অবশ্যই আমাদের জানা উচিত আসলে এই পটাশিয়ামটা কি। কেন এই পটাশিয়াম আমাদের প্রয়োজন। পটাশিয়াম আমাদের দেহে খনিজ লবনের কাজ করে থাকে অর্থাৎ দেহের খনিজ লবণের মধ্যে পটাশিয়াম অন্যতম। আমাদের শরীরে ইলেকট্রোলাইট হিসেবে কাজ করে এই পটাশিয়াম। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আর এই ইলেক্ট্রোলাইট দেহের শরীরবৃত্তীয় কাজ পরিচালনায় সাহায্য করে। এটি মূলত দেহের পানির ভারসাম্য বজায় রাখে। দেহের কোষ থেকে বজ্র পদার্থ অপসারণ করে এবং দেহের কোষে পানি সরবরাহ করে। এছাড়া দেহের বিভিন্ন কোষে পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করে। আমাদের দেহের ক্ষার ও এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই পটাশিয়াম।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের মাখন খাওয়ানোর নিয়ম
এছাড়া পেশির সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন কারণে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণ কমে যেতে পারে তখন দেহে বিভিন্ন কাজে বাধা সৃষ্টি হয়, তাই আমাদের দেহের জন্য পটাশিয়াম জাতীয় খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পটাশিয়াম জাতীয় খাবার কি কি
আমরা সকলে জানি স্বাস্থ্যের সকল সুখের মূল। আর এই স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। আর এই পুষ্টি উপাদানের মধ্যে পটাশিয়াম অন্যতম। আমার প্রায় পটাশিয়াম জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলি যা আমাদের নিয়মিত খাওয়া উচিত স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য। তবে চলুন আমরা এবার জেনে নেই স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কোন কোন পটাশিয়াম জাতীয় খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন।পটাশিয়াম যুক্ত খাবারের তালিকাঃ
কলাঃ কলাকে পটাশিয়াম এর পাওয়ার হাউস বলা হয়। কারণে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। কলাতে রয়েছে আনুমানিক ৪০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম যার কারণে কলাকে পটাশিয়ামের পাওয়ার হাউস বলা হয়ে থাকে। এটি নিয়মিত খেলে আমাদের দেহে পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে এবং স্বাস্থ্য বজায় থাকবে। কলাতে যে শুধু পটাশিয়াম রয়েছে তা কিন্তু নয় এতে আরো অনেক ধরনের ভিটামিন রয়েছে বা পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
পালং শাকঃ পুষ্টির দিক দিয়ে পালং শাক অন্যান্য শাকের চেয়ে অন্যতম। পালং শাক যে শুধু পুষ্টি নয় বরং খেতেও সেরা। প্রায় ১০০ গ্রাম পালং শাকে রয়েছে ৫৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম যা অন্যান্য শাক থেকে পুষ্টির দিক দিয়ে সেরা। পালংশাকে যে শুধু পটাশিয়াম রয়েছে তা কিন্তু নয় এতে আরো অনেক ধরনের ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ , ভিটামিন কে ,ম্যাগনেসিয়াম ও মিনারেল রয়েছে। তবে বুঝতে পারছেন পালং শাক কতটা উপকারী। আপনার নিয়মিত পটাশিয়াম পেতে পালং শাক খেতে পারেন।
কমলালেবুঃ কমলালেবু যে আমাদের শুধু তৃষ্ণা মেটায় তা কিন্তু নয় এতে রয়েছে পটাশিয়াম সহ আরো অনেক পুষ্টিকর উপাদান। একটি মাঝারি আকারের কমলালেবুতে রয়েছে ২৪০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম যা আমাদের দেহের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনারা পটাশিয়াম জাতীয় খাবার পেতে কমলালেবু খেতে পারেন।
আলুঃ আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। তাই আপনারা যারা আলু খাওয়া পছন্দ করেন না তারা রান্নার সাথে আলু খেতে পারেন। আলু বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি হিসেবে খ্যাত। সাধারণত একটি মাঝারি আকারের আলুতে মিনিমাম ৫৫০ মিলিগ্রামের ও বেশি পটাশিয়াম রয়েছে। গবেষকদের মতে আলু হলো অন্যতম পটাশিয়ামের উৎস। তাই আপনারা পটাশিয়ামযুক্ত খাবার হিসেবে আলু যুক্ত করতে পারেন।
মিষ্টি আলুঃ মিষ্টি আলু হলো পটাশিয়ামের একটি স্বাদযুক্ত উৎস। মিষ্টি আলু অন্যান্য খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করুন যা আপনার খাবারের পটাশিয়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে যা অন্তত ৪৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। মিষ্টি আলো শুধু স্বাদেই নয় বরং পুষ্টিতেও ভরপুর।মিষ্টি আলু শুধুমাত্র পটাশিয়ামের একটি ভাল উৎস নয়, এটি বিটা-ক্যারোটিনের মতো অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিও উপাদান সরবরাহ করে। তাহলে আপনি মিষ্টি আলু পটাশিয়াম জাতীয় খাবার তালিকায় অন্তভুক্ত করতে পারেন।
বেদানাঃ ফলের মধ্যে কলার পরেও বেদনাতে রয়েছে পটাশিয়াম। একটি মাঝারি আকারের বেদেনাতে রয়েছে ৬০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম যা অন্যান্য ফলের তুলনায় বেশি রয়েছে। এটিতে শুধুমাত্র পটাশিয়াম নয় বরং ভিটামিন সি , ভিটামিন কে , ফাইবার সহ প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে। যা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর উপাদান। তাহলে আপনারা বেদেনাতে পটাশিয়ামের সাথে সাথে অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান পেয়ে যাচ্ছেন।
টোম্যাটোঃ টমেটো সেদ্ধ করে জুস বানিয়ে খেলে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। মূলত একটি টমেটো যদি জুস তৈরি করেন তাহলে এতে রয়েছে কমপক্ষে ৪০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। তাছাড়াও টমেটোতে ভিটামিন সি যা অন্যতম ভিটামিনের উৎস। তাই আপনারা খাবার তালিকায় টমেটো যুক্ত করতে পারেন পটাশিয়ামের আঁধার হিসাবে।
মাশরুমঃ আপনারা তো জানলেন সবজিতে পটাশিয়াম পাওয়া যায়, তবে এটা জানেন কি মাশরুমেও ভালো পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। জানা গেছে ২০০ গ্রাম মাশরুমে ৮০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে যা কিনা অধিক পরিমাণে থাকে। তাহলে বুঝতে পারছেন খাবার তালিকায় আপনি মাশরুম রাখতে পারেন।
কুমড়োঃ এছাড়াও আপনারা কুমড়াতে ও পটাশিয়াম পেতে পারেন। সাধারণত একটি মাঝারি আকারে কুমড়াতে অর্থাৎ কমলার ওজন যদি ২০০ গ্রাম হয় তাহলে এতে পটাশিয়ামে পরিমাণ ৬৮০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত রয়েছে। এতে শুধু পটাশিয়াম নয় বরং ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও আয়রন সহ অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
সোয়াবিনঃ আপনারা নিশ্চয়ই সোয়াবিন এর নাম শুনেছেন। এটিতেও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায় যা আপনারা খেতে পারেন। এক কাপ সোয়াবিন এ রয়েছে ৫০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম যা কিনা আপনারা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার তালিকায় যুক্ত করতে পারেন।
ডাবের পানিঃ আমরা সকলেই জানি ডাবের পানি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী। ডাবে শুধু যে পটাশিয়াম রয়েছে তা কিন্তু নয় এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ যা আমাদের দেহের পুষ্টি উপাদান পূরণে সাহায্য করে। তবে মূল কথায় ডাবের পানিতে পটাশিয়াম রয়েছে ৬০০ মিলিগ্রাম তাহলে আপনার ডাবের পানি খেলেও পটাশিয়াম পাবেন।
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা - পটাশিয়াম জাতীয় খাবার কি কি
- মসুর ডাল
- কালো শিম
- ছোলা
- কাজুবাদাম
- সূর্যমুখী বীজ
- স্যালমন মাছ
- টুনা
- চিংড়ি
- দুধ
- দই
- পনির
- কলা
- ডালিম
- পালং শাক
- ডাবের পানি
- মিষ্টি কুমড়া
- টমেটো
পটাশিয়াম কেন প্রয়োজন ও এর গুরুত্ব
আমাদের দেহে পটাশিয়ামের গুরুত্ব রয়েছে। বর্তমান বিশ্বে বেশিরভাগ মানুষ উচ্চ রক্তচাপের কারণে মৃত্যুবরণ করছে। আর এটি হয় সাধারণত রক্তের সোডিয়াম লবণের পরিমাণ বেশি হলে। আর এই পটাশিয়াম গ্রহণ করলে বা পটাশিয়াম জাতীয় খাবার খেলে এটি আমাদের দেহের সোডিয়াম লবণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ ইসুবগুলের ভুষি খেলে কি মোটা হয়
বর্তমানে প্রায় বিশ্বে বেশিরভাগ মানুষ ব্রেন স্টোকে মারা যাচ্ছে। এ কারণ হচ্ছে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহী বাধা প্রদান হচ্ছে। তবে চিকিৎসকদের মতে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার আমাদের রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক রেখে ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।হাড় ক্ষয় প্রতিরোধ প্রতিরোধে পটাশিয়ামের ভূমিকা রয়েছে।হাড় ক্ষয় সাধারণত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর অভাবে হয়ে থাকে। তবে পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেলে শরীর থেকে ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি এর পরিমাণ ঠিক রাখা যায়।
তাছাড়া গবেষকদের মতে এই পটাশিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া হলে কিডনিতে পাথর হওয়া থেকেও প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া আমাদের শরীরের অতিরিক্ত পানি হলে তা নিয়ন্ত্রণে পটাশিয়ামের ভূমিকা রয়েছে। কারণ অতিরিক্ত পানি শরীরে হলে পেট ফুলে যায় তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। পটাশিয়াম যুক্ত খাবার খেলে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং সোডিয়াম লবণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। কারণ এই সোডিয়াম লবণ আমাদের শরীরে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
পটাশিয়াম কমানোর উপায়
সাধারণত কিডনির সমস্যা হলে দেহে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে দেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই দেহে বা শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য বৃক্কের যত্ন নিতে হবে। আবার দেহে অধিক পরিমাণে পটাশিয়াম উৎপন্ন হলেও ঝুঁকির কারণ হতে পারে। ফলে বৃক্কের বা কিডনির উপর চাপ বেড়ে যেতে পারে। সব দিক দিয়ে ঠিক রাখতে চাইলে আমাদের কিছু খাবার পরিহার করতে হবে বা না খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
পটাশিয়ামের পরিমাণ শরীরে বেড়ে গেলে কোন কোন খাবার পরিহার করতে হবে তা জানতে হবে এবং যে খাবারগুলোতে ২০০ মিলিগ্রাম এর বেশি পটাশিয়াম রয়েছে সেগুলো খাবার পরিহার করা দরকার বা কম খাওয়া উচিত। চলুন তা জেনে নেই পটাশিয়াম বেশি হলে কোন কোন খাবার কম খাওয়া উচিত।
- মুরগির মাংস
- টমেটো
- আলু
- পালং শাক
- ডাল
- কিশমিশ
- দুধ
- কলা
- বাদাম
তবে সব খাবার যদি না খান তাহলে খাবেন কি চলুন তা জেনে নেই। এক্ষেত্রে যেসব খাবারে পটাশিয়াম কম রয়েছে সেসব খাবার খাওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখবেন এটি শুধু যাদের পটাশিয়ামের মাত্রা অধিক পরিমাণে দেহে রয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে শুধু তাদের জন্য। আর যাদের পটাশিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তারা তো খাবার গুলো খাবেনি। আর যাদের অধিক পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে তারা নিম্ন কম পটাশিয়াম যুক্ত খাবারগুলো খেতে পারেন।
- ভাত
- পাঁউরুটি
- বেগুন
- ডিমের সাদা অংশ
- পাস্তা
- বকলি
- আপেল
- আনারস
- ফুলকপি
- আঙ্গুর
- মিষ্টি আলু
পটাশিয়াম বেশি হলে কি হয়
আপনার এতক্ষণ পর্যন্ত পটাশিয়াম খাবারের তালিকা জানলেন তবে এবার জেনে রাখা ভালো পটাশিয়াম শুধু খেলেই হবে না পটাশিয়াম দেহে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। কারণ অতিরিক্ত পটাশিয়াম শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পটাশিয়াম শরীরের নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। বৃক্ক শরীরের বর্জ্য পদার্থ নিঃসরণ করে এবং বিভিন্ন সারিবৃত্তীয় কাজ অংশগ্রহণ করে। কিডনিতে যদি সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে দেহে পটাশিমের মাত্রা বেড়ে যায়।
আর এই সময় যদি অতিরিক্ত পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা স্বাস্থ্য ঝুকি দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত পটাশিয়াম খেলে হার্ট দুর্বল হয়ে যেতে পারে এছাড়াও কিডনিতে ক্ষতি হতে পারে। হার্টের আকার আকৃতিতে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেতে পারে। অনেক সময় হৃদস্পন্দন সংকোচন ও প্রসারণ কমে যেতে পারে যা কিনা আমাদের দেহের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। তাই অবশ্যই পরিমাণ মতো পটাশিয়াম জাতীয় খাবার গ্রহণ করবেন।
কম পটাশিয়াম যুক্ত খাবার
আপনারা তো পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেলেন তবে যাদের পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি রয়েছে তাদের উচিত কম পটাশিয়াম যুক্ত খাবার গ্রহণ করা। আপনারা কম পটাশিয়ামযুক্ত খাবার হিসেবে মিষ্টি আলু , ফুলকপি , আনারস , পেঁপে , আপেল , আঙ্গুর , ঝিঙে , পটল , আলু , সিম সহ আরো অনেক কম পটাশিয়াম খাবার রয়েছে যা আপনারা খেতে পারেন। আর যাদের তো পটাশিয়ামের প্রয়োজন তারা তো অধিক পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেতেই পারেন যা আমরা উপরে আলোচনা করেছি।
পটাশিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ
পটাশিয়াম অভাব হলে আমাদের দেহে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে যা আমরা এখন আলোচনা করব। চলুন জেনে নেই পটাশিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণগুলো কি কি।
- পটাশিয়ামের অভাব দেখা দিলে খাবার খাওয়ায় রুচির অভাব দেখা দিতে পারে।
- হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে যেতে পারে। হৃদপিন্ডের সংকোচন ও প্রসারণ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
- পটাশিয়ামের অভাবে মাংসপেশি দুর্বলতা অনুভব হতে পারে।
- পেশী গঠনে ভূমিকা রাখে এই পটাশিয়াম। তাই এর অভাবে পেশি গঠনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- শরীরের পানির ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হতে পারে।
- এছাড়া মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে এই পটাশিয়াম।
পটাশিয়াম কম খেলে কি হয়
পটাশিয়াম কম খেলে দেহে হাইপোক্যালেমিয়া রোগ সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া আবার পটাশিয়াম বেশি হলে রক্তে হাইপারক্যালেমিয়া দেখা দিতে পারে। এছাড়াও পটাশিয়ামের অভাবে মস্তিষ্কের সহ হৃদপিন্ডের কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যাহত হতে পারে। এছাড়া দেহে অতিরিক্ত পানি জমা হলে পানি নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে পটাশিয়াম।
দেহ থেকে সোডিয়াম লবণ কমিয়ে পানির ভারসাম্য রক্ষাতে সাহায্য করে পটাশিয়াম। তাই আপনি যদি পটাশিয়াম কম খান তাহলে দেহে পানি নিয়ন্ত্রণ সহ কিডনির সমস্যা হতে পারে। তাহলে আশা করছি বুঝতে পারছেন পটাশিয়াম কম খেলে কি হয়।
শেষ কথা ।পটাশিয়াম জাতীয় খাবার কি কি
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা পটাশিয়াম জাতীয় খাবার কি কি সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। এবং এটি খেলে কি হয় আর না খেলে কি হয় তা সম্পর্কে অবগত হয়েছে। পটাশিয়াম সাধারণত পরিমান মত খাওয়া ভালো তবে অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়াও আবার বিপদজনক কারণ হতে পারে। উপরের দেওয়া খাবার তালিকা গুলো ভালো করে দেখে যাদের পটাশিয়ামের অভাব হয়েছে তারা গ্রহন করতে পারেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। অন্যদের পটাশিয়াম সম্পর্কে জানাতে পোস্টটি শেয়ার করুন।
আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url