ব্রেন টিউমার হলে করণীয় - ব্রেন টিউমার কেন হয়

বর্তমান সময়ে এসে ব্রেন টিউমার একটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। আমরা অনেকেই ব্রেন টিউমারের লক্ষণ এবং ব্রেন টিউমার হলে করণীয় এই বিষয়গুলো জানিনা। এই সম্পূর্ণ পোস্টটিতে ব্রেন টিউমার হলে কি করা উচিত এবং ব্রেন টিউমার এর লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
ব্রেন টিউমার হলে করণীয়
আপনি যদি ব্রেন টিউমার হলে কি করা উচিত জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আশা করি আপনি ব্রেন টিউমার হলে কি করবেন এর সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানতে পারবেন।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে এসে ব্রেন টিউমার পুরো বিশ্বে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে ফেলেছে। বর্তমান সময়ে এসে আমরা অনেকেই ব্রেন টিউমার হলে করণীয় এবং কি কি কারণে ব্রেন টিউমার হয় এই বিষয়গুলো জানিনা। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে ব্রেন টিউমার হলে বিভিন্ন করণীয় বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি ব্রেন টিউমার হলে কি কি কাজ করণীয় এবং ব্রেন টিউমার কেন হয় এই সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন

ব্রেন টিউমার হলে করণীয়

যদি আপনি বুঝতে পারেন যে আপনার ব্রেন টিউমারের লক্ষণ রয়েছে। তবে কোন কিছু চিন্তা ভাবনা না করেই একটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে। এর জন্য আপনি এমআরআই অবশ্যই করবেন। সাধারণত এমআরআই পদ্ধতিতে মানুষের ব্রেন টিউমার নির্ণয় করা হয়। এক কথায় বলতে গেলে আপনি যখন ব্রেন টিউমারের লক্ষণ গুলো আপনার মধ্যে দেখতে পাবেন।
তখন কোন কিছু না ভেবেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আর মনে রাখবেন ভয় পাওয়ার একদমই দরকার নাই। আমরা অনেকে আছি যারা মনে করেন যে ব্রেন টিউমার হলে মানুষ বাঁচবে না। বা আমার ব্রেন টিউমার হয়েছে আমি মারা যাব। এমন ভয় পাওয়ার দরকার নাই। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং এমআরআই করুন নিশ্চিতকরণে।

ব্রেন টিউমার এর লক্ষণ

  • মাথা ব্যাথা হবে এবং সময়ের সাথে সাথে মাথা ব্যথা  বৃদ্ধি পাবে।
  • মাথাব্যথা সঙ্গে সঙ্গে খিচুনি ও হতে পারে।
  • দৃষ্টিশক্তির সমস্যা অর্থাৎ চোখে কম দেখা।
  • হঠাৎ করে মাথায় চাপ অনুভব করা।
  • সকালে প্রচুর পরিমাণে মাথাব্যথা।
  • ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর দুর্বল এবং মাথা ঘোরানো।
  • বমি বমি ভাব দেখা দেয়।
  • এছাড়াও চোখ দিয়ে একটি জিনিস দুইটি করে দেখা।
  • কথা বলতে বলতে কথা আটকে যাওয়া।
  • ভারসাম্যহীনতা।
  • রোগীর অস্বাভাবিক আচরণ দেখা দিতে পারে।
  • স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া অর্থাৎ বিভিন্ন জিনিস ভুলে যাওয়া।
  • যদি ব্রেন টিউমার বড় হয়ে যায় তাহলে আরো সমস্যা হয়।

ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে

বর্তমান সময়ে এসে ব্রেন টিউমার একটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। আমরা অনেকেই মনে করি যে আমার ব্রেন টিউমার হয়েছে আমি মনে হয় আর বাঁচবো না। সেটা মনে করে অনেক চিন্তা করে তার সাথে সাথে ভয় পায় এবং রোগী ভেঙ্গে পড়ে। আমি বলব ব্রেন টিউমার হলে একদমই ভয় পাওয়ার দরকার নাই। আপনি যদি বুঝতে পারেন যে আপনার ব্রেন টিউমারের লক্ষণগুলো প্রকাশ পাচ্ছে তাহলে দেরি করা ছাড়াই খুব দ্রুত একটি অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তার সাথে সাথে এমআরআই করে ব্রেন টিউমার হয়েছে কিনা পরীক্ষা করে দেখুন।
আর ব্রেন টিউমার ধরা পড়লে ভয় পাবার কোন কারণ নাই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এসে ব্রেন টিউমারের বিভিন্ন চিকিৎসা রয়েছে। আপনি যদি প্রথমে পরীক্ষা করে ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই এটি ভালো করা সম্ভব। যদি আপনি নিজের অবহেলার কারণে ব্রেন টিউমারকে অনেক বেশি বড় করে ফেলেন তাহলে আপনার মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকতে পারে। তাই সব সময় সতর্ক থাকুন। কোন সমস্যা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

যে খাবার ব্রেন টিউমারের সমস্যা থেকে রক্ষা করে

  • ভিটামিন সি জাতীয় খাবার অর্থাৎ লেবু।
  • বিভিন্ন ধরনের ফ্যাটি ফিস।
  • রসুন।
  • বাদাম।
  • ফ্লাক্স সিড।
  • হলুদ।
  • সবুজ শাকসবজি।
  • টমেটো।
  • বেরি।

ব্রেন টিউমার কেন হয়

ছোট বাচ্চা থেকে যেকোনো বয়সের মানুষের ব্রেন টিউমার দেখা দিতে পারে। সাধারণত ব্রেন টিউমার হয় আমাদের ভুলের কারণে। কারণ বর্তমান সময়ে এসে আমরা বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের ফল এবং শাকসবজি কিনে থাকি। আসলে ওই ফলমূল গুলোতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের বিষ এবং ফরমালিন সহ অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ। এগুলো ব্যবহার করার জন্য ফল বেশিদিন ধরে ঠিক থাকে এবং ফলগুলো তাড়াতাড়ি পেকে যায়।
আমরা সবাই জানি যে ফল পাকার জন্য ফরমালিন ব্যবহার করা হয়। এক কথায় বলতে গেলে যে মানুষগুলো বেশি বেশি ওই ফরমালিনযুক্ত ফলগুলো খেয়ে থাকেন। তাদের ব্রেনে আস্তে আস্তে সেই ফরমালিন এবং বিষাক্ত পদার্থ তাদের ব্রেনে জমা হতে থাকে। ও পরবর্তীতে এটি ব্রেন টিউমারের আকার ধারণ করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এছাড়াও পুরুষদের ক্ষেত্রে যারা অধিক পরিমাণে ধূমপান করে।

এই ধূমপান এবং নেশা জাতীয় পান করার কারণে ব্রেন টিউমার দেখা দিতে পারে। তাই ব্রেন টিউমার থেকে বাঁচতে অবশ্যই ধূমপান এবং নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করবেন না। ব্রেন টিউমার হাত তৃতীয় কারনটি হল বিনা কারণে ওষুধ খাওয়া। আমরা কি করি একটু জ্বর অথবা মাথা ব্যথা হলে কিংবা একটু কোন সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া।

ফার্মেসিতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যথার ওষুধ। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন এরকম ব্যথা অথবা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার কারণে ব্রেন টিউমার দেখা দিতে পারে। তাই আমি বলব অবশ্যই উপরে দেখানো বিষয়গুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

ব্রেন টিউমারে খাবার

  • ওমেগা থ্রি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার।
  • তাজা এবং সবুজ শাকসবজি।
  • আঁশযুক্ত ও শস্য জাতীয় খাবার।
  • দুধ ডিম এবং মাছ।
  • সুষম খাবার গ্রহণ করা।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা।
  • ভিটামিন সি জাতীয় খাবার অর্থাৎ লেবু।
  • বিভিন্ন ধরনের ফ্যাটি ফিস।
  • রসুন।
  • বাদাম।
  • ফ্লাক্স সিড।
  • হলুদ।
  • টমেটো।
  • বেরি।

ব্রেন টিউমারের  চিকিৎসা

আমরা সকলেই জানি যে ব্রেন টিউমার হচ্ছে আমাদের ব্রেনে তৈরি হওয়া একটি টিউমার। এটি শুধুমাত্র আমাদের ব্রেনে হয়ে থাকে যার জন্য একে আমরা ব্রেন টিউমার বলে থাকি। সাধারণত ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা শুরু হয় এমআরআই থেকে। সাধারণত এমআরআই দিয়ে রোগীর ব্রেন টিউমার সনাক্তকরণ করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা খুবই জটিল এবং ব্যয়বহুল হয়ে থাকে।

আমরা নির্ভরযোগ্য এবং বিকল্প চিকিৎসা যদি পেয়ে যায় তাহলে আমরা কেন এই ব্যয়বহুল অপারেশনের ঝুঁকি নিতে যাব। কারণ ব্রেইন হচ্ছে মানুষের খুবই সেনসিটিভ জায়গা। যদি টিউমার সনাক্তকরণ হয় তাহলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমেও ব্রেন টিউমার ভালো করা যায়। হোমিওপ্যাথির মাধ্যমেও ব্রেন টিউমার ভালো করা যায় এটা কিন্তু আমরা অনেকেই জানি।

তার জন্য আপনি কোন বিশেষজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে যান। আশা করি সেই ডাক্তার অল্প খরচে এবং বিনা অপারেশনে আপনার ব্রেন টিউমার ভালো করে দেবে। আপনি চাইলে এমআরআই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। কিন্তু একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন ব্রেন কিন্তু আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সে ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা এবং এমআরআই পদ্ধতি অবলম্বন করেন না কেন অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।

পরিশেষে আপনি একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন বিষয়টি হলো যখনই ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা করতে যাবেন অভিজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া চিকিৎসা নিবেন না। এক কথায় অভিজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা না করাই ভালো। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এসে এখন ব্রেন টিউমারের মত জটিল চিকিৎসা আমাদের বাংলাদেশেও হচ্ছে।

শেষ কথা

এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি ব্রেন টিউমার হলে বিভিন্ন করণীয় বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাই আপনার পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং নিত্যপ্রয়োজনে বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url