কি খেলে বাচ্চার ব্রেইন ভালো হয় বিস্তারিত জানুন

আপনারা নিশ্চয়ই কি খেলে বাচ্চার ব্রেইন ভালো হয় এই সম্পর্কে জানতে আজকের পোস্টটিতে এসেছেন। তবে চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই, আজকের পোস্টটিতে আমরা আপনাদের জন্য কি খেলে বাচ্চার ব্রেইন ভালো হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করব।
কি খেলে বাচ্চার ব্রেইন ভালো হয়
পোস্টসূচিপত্র:সকল শিশুদেরকে সহজে হজমযোগ্য এবং উচ্চ পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো উচিত। যাতে করে খুব শিগ্রই শিশুর উচ্চতার পাশাপাশি শরীর ও মন সঠিকভাবে গড়ে উঠতে পারে।

ভূমিকা | কি খেলে বাচ্চার ব্রেইন ভালো হয়

মা-বাবারা বাচ্চাদের খাবার খাওয়া নিয়ে চিন্তিত থাকেন। কোন কোন খাবার বাচ্চার ব্রেইন উন্নতি ঘটবে সে সম্পর্কে তারা কোনো ভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে চায়। আজকের পোস্টে  2 বছর বয়সী শিশুর খাবারের একটি তালিকা সম্পর্কে জানাবো আপনাদেরকে। এছাড়াও আরো অনেক কিছু সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে।

আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন তাহলে আপনি ২ বছর বয়সী শিশুর খাবারের পরিকল্পনা, বয়স অনুযায়ী শিশুর উচ্চতা, ২-৩ বছর বয়সী শিশুর খাবারের পরিকল্পনা, 4 বছর বয়সী শিশুর খাবারের পরিকল্পনা ইত্যাদি সহ আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন। তো বন্ধুগণ আর বেশি দেরি না করে চলুন এখন বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।

বয়স অনুযায়ী শিশুর উচ্চতা ও শিশুর খাবার তালিকা

পিতা মাতারা তাদের সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে সর্বদা চিন্তিত থাকেন। এমন খাবার খেলে বয়স অনুযায়ী শিশুর উচ্চতা বাড়বে এমন জিনিসের খোঁজ সব সময়ই থাকে। বয়সের উপর নির্ভর করে শিশুর খাদ্য তালিকায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবার রাখা প্রয়োজন যেগুলো শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মাংসপেশিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

জন্মের পর থেকে, শিশুরা প্রতি বছর 5 সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। শিশু বয়ঃসন্ধি না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত শিশুদের প্রধান খাদ্য হওয়া উচিত মায়ের দুধের সঙ্গে তিনটি অল্প পরিমাণে অন্যান্য খাবার। এই সব খাবার নরম হওয়া উচিত কারণ এই সময়ে শিশুদের হজম শক্তি শক্তিশালী থাকে না তাই তারা সহজে কোনো শক্ত খাবার হজম করতে পারে না।

নরম খাবারের মধ্যে ভাত ও ডালের সাথে মেশানো নরম খিচুড়ি উল্লেখযোগ্য। এই খাবারে লেগুমের পুষ্টির পাশাপাশি উদ্ভিদ প্রোটিন রয়েছে এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। খুব অল্প পরিমাণে খাওয়া হলেও এই খাবার থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন শিশুদের শরীরে প্রবেশ করে। ছয় মাস বা এক বছর বয়সী শিশুদের খুব অল্প পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়ানো যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ 
শিশুরা ফল খেতে না চাইলে এ সময় ফলের রস দেওয়া যেতে পারে। সাধারণভাবে, যেকোনো ফলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বাচ্চাদের অন্যান্য খাবারের সাথে খুব অল্প পরিমাণে ডিম, মাছ খাওয়া উচিত। ডিম মাছ বেশি খেলে এসিডির মতো সমস্যা হতে পারে। ডিমের প্রোটিন অক্ষত থাকায় সিদ্ধ ডিম শিশুদের জন্য সবচেয়ে ভালো।

যে কোনো তৈলাক্ত মাছই শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া শিশুর খাবারে সুজি, সাবান, ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর তরকারি ইত্যাদি রাখতে পারেন, যা শিশুর মস্তিষ্ক ও শারীরিক গঠনের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ পান করতে হবে। মায়ের প্রথম দুধকে কোলোস্ট্রামও বলা হয়, যা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

জন্মের পর, বাইরে থেকে কিছু শিশুর মুখে দেওয়া যাবে না। শিশুর প্রথম টিকা এবং জন্মের পর শক্তির প্রথম উৎস হল মায়ের দুধের প্রথম বছর। উপরের নিয়ম অনুযায়ী শিশুকে খাওয়ানো গেলে বয়স অনুযায়ী শিশুর উচ্চতা ঠিক থাকবে। বাচ্চাদের উচ্চতা সেই বয়সের জন্য ছোট হয় যখন তাদের নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে এই পুষ্টি থাকে না।

২-৩ বছরের বাচ্চার খাবার তালিকা

এক থেকে দুই বছর বয়সী শিশুদের খাবার তালিকা করা সবচেয়ে কঠিন। কারণ এমন অনেক খাবার আছে যা শিশুরা খেতে চায় না, কিন্তু এসব খাবারে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। সুতরাং, নিবন্ধের এই অংশে, আমরা ২ বছরের শিশুর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে নজর দেব।

অন্যদিকে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, শিশুর স্বাস্থ্যের বিষয়ে, পিতামাতারা সর্বদা বিভিন্ন উপায়ে ২-৩বছর বয়সী শিশুর খাদ্যের সাথে নিজেকে পরিচিত করার চেষ্টা করেন। শিশুদের জন্য প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস হল বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ফল। এই ফলাফলগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
  • আম
  • আমড়া
  • জলপাই
  • আপেল
  • আঙ্গুর
  • কমলা
  • কলা
  • স্ট্রবেরি
  • অ্যাভাকার্ডো
এই ফলগুলোতে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান যা শিশুর শারীরিক চাহিদা পূরণ করে। শরীরের পেশী মজবুত ও শরীর সুস্থ রাখতে শিশুদের এই ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বাচ্চাদের আমিশের চাহিদা মেটাতে মাছ ও মাংসের সাথে লেবু খাওয়ানো ভালো। ডালের মধ্যে রয়েছে
  • মুগ ডাল
  • মসুর ডাল
  • কটি কলাই সবচেয়ে ভালো।
অন্যদিকে, শরীরের একত্রীকরণ ব্যবস্থার উন্নতি, হজমশক্তি বাড়াতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি সেরা। শাকসবজিতে উপস্থিত ফাইবার শারীরিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখে। শিশুদের ক্ষেত্রে শারীরিক চাহিদা মেটাতে পারে এমন সব ধরনের সবজি হলঃ
আরো পড়ুনঃ
  1. মিষ্টিআলু
  2. কুমড়া
  3. আলু
  4. গাজর
  5. শিম
  6. ফুলকপি
  7. ব্রকলি
  8. বাঁধাকপি
  9. কুমড়া
  10. পালং শাক
  11. পুইশাক
  12. টমেটো
পুষ্টিবিদদের মতে শিশুর খাবার তালিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডায়েট হলঃ

সব ধরনের সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন।সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন চিকেন বা গরুর কলিজা পরিবেশন করা উচিত।শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য হিসেবে ঘি বা মাখন খাওয়ানো যেতে পারে।প্রতিদিন বিকেলে গরম দুধের সাথে মধু বা বাদাম খাওয়ানো যেতে পারে। বর্তমানে জনপ্রিয় হরলিক্স দুধের সাথে দেওয়া যেতে পারে।

শিশুর খাবার বা রান্নায় তেলের ব্যবহার যতটা সম্ভব সীমিত করা উচিত। প্রতিদিন একটি বড় আপেলের সমপরিমাণ যে কোনো ফল খাওয়ান। শিশুকে খেলাধুলা করতে বাধ্য করতে হবে এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। শিশুদের জন্য, বাইরে খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো। শিশুর স্বাস্থ্যের বিষয়ে, শিশুর পছন্দের এবং পুষ্টিকর খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।

উপরোক্ত খাদ্যতালিকাগত চারটি আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে শিশুর পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের দ্বারা। উপরের চার্টটি ডায়েট অনুযায়ী শিশুকে খাওয়ালে শিশুর শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রাপ্তি খুব সহজ হবে। 6 মাস বয়সে, শিশুকে বুকের দুধের সাথে খাবার গ্রহণ করানো উচিত।

তবে অনেক বাবা-মাই জানেন না কোন বয়সে শিশুকে কী পরিমাণ খাবার দেওয়া উচিত।অনেক মা মনে করেন শিশুকে বেশি করে খাওয়ালে শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। কিন্তু পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের প্রায়ই অল্প পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া ভালো।

কি খেলে বাচ্চার ব্রেইন ভালো হয়

কোন কোন খাবার গর্ভাবস্থায় থাকার সময় আপনি যদি গ্রহণ করেন তাহলে আপনার বাচ্চার ব্রেইন ভালো হবে সেই সম্পর্কে এখন আমরা আপনাদেরকে জানাবো। আপনি যদি আপনার বাচ্চার ব্রেনের স্মৃতিশক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা গ্রস্ত বোধ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আজকের আর্টিকেলের এই অংশটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

আপনি যদি গর্ব অবস্থায় সময়ে কিছু খাবার খান তাহলে অবশ্যই আপনার গর্ভের বাচ্চার ব্রেনের চিকিৎ শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। যে সকল খাবার আপনার গর্ভাবস্থায় গ্রহণ করতে পারেন সেগুলো হলো ডিম, মাছ, মাংস, বিনস, পাঁচমিশালি ডাল, সিড। এই সকল খাবার যদি আপনি প্রতিনিয়ত গ্রহণ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ অনেকটাই ভালো হবে।

সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ মায়ের গর্ভাবস্থা থেকে শুরু হয়। সেজন্য আপনাকে কিছু খাবার মেনে চলতে হবে। এই সকল খাবারের পাশাপাশি আপনি কলা, শুকনো ফল, পুদিনাপাতা, সবুজ শাকসবজি এগুলো খাবার গ্রহণ করতে পারেন। কারণ এ সকল খাবারগুলোতে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। যেটা গর্ভাবস্থায়ী শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে এবং বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি করার জন্য সহায়তা করে।

গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন আপনি আপনার খাবার তালিকায় কিছু বিশেষ খাবার যোগ করতে পারেন। যার জন্য আপনার শিশুর মস্তিষ্ক বিশ্বাস করার জন্য অনেক সহযোগিতা করবেন। চলুন এখন জেনে নেই সেই সকল খাবার গুলো সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারঃ গর্ভাবস্থায় আপনি অবশ্যই প্রোটন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা সব থেকে বেশি চেষ্টা করবেন। সেই সকল প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস, ডিম, পাঁচমিশালি ডাল, সিড ইত্যাদি।

আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবারঃ গর্ব অবস্থায় অবশ্যই আপনি আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন। তার জন্য আপনি আয়োজন সমৃদ্ধ লবণ খেতে পারেন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ, দুধ, ডিম, দই এ সকল খাবার গ্রহণ করতে পারেন। বিশেষ করে আপনি যখন গর্ভবতী হবেন তখন প্রথম বার সপ্তাহে যদি আপনি আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার না খান তাহলে আপনার বাঁচার আইকিউ কম হয়ে যেতে পারে।

সবুজ শাক-সবজিঃ গর্ভাবস্থায় অবশ্যই সবুজ শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও আপনি যদি পারেন তাহলে ফলিক এসিড সাপ্লিমেন্ট ভিটামিন বি-১২ এর সঙ্গে গ্রহণ করবেন। কারন পাতাবহুল শাকসবজি এবং ডাল এ জাতীয় সকল খাবার ফলিক এসিড আপনার শরীরে সরবরাহ করবে।

ভিটামিন-ডি যুক্ত খাবারঃ গর্ভাবস্থায় যদি গর্ভবতী মায়ের শরীরে ভিটামিন ডি এর অনেকটাই অভাব হয়ে থাকে তাহলে শিশুর মস্তিষ্কে সম্পন্ন হবে বিকাশ হতে পারেনা। তাই অবশ্যই আপনি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। তার জন্য আপনি পনির, গরুর মাংস অথবা গরুর কলিজা এ সকল খাবার গ্রহণ করুন।

পুষ্টিকর খাবারের উপকারিতা

পুষ্টিকর শিশু সূত্রের সুবিধা হল যে এটি একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে প্রধান ভূমিকা পালন করে। যে কোনো পুষ্টিকর খাবারই শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে ভূমিকা রাখে। এখন আমরা আলোচনা করব কোন খাবারগুলো শিশুদের মস্তিষ্কের জন্য ভালো। বলা হয়ে থাকে শরীরের শক্তি বাড়াতে, ত্বক ভালো রাখতে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে, প্রস্রাবের সমস্যা দূর করতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে, মাথা ঠান্ডা রাখতে, হৃদরোগের সমস্যাকে দূরে রাখতে নানা ধরনের পুষ্টিকর সবজি।
শিশুদের কলিজা, বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি অল্প অল্প করে খাওয়ালে শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে শিশুর মস্তিষ্ক ভালো থাকে এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর হয়। শরীরে পুষ্টির অভাব হলে শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হয় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তাই শিশুকে সব ধরনের পুষ্টিকর খাবার পরিমিত পরিমাণে দিতে হবে।

অনেক মা প্রশ্ন করেন শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য সবচেয়ে ভালো খাবার কোনটি? স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রোটিন যুক্ত যেকোনো খাবার শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে ভূমিকা রাখে। প্রোটিন জাতীয় খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ
আরো পড়ুনঃ 
  • ছোলা
  • ডিম
  • দুধ
  • মুরগি
  • মসুর ডাল
  • বিভিন্ন ধরনের বাদাম
  • সয়া
  • পনির
  • মিছরি
  • পনির
  • চিনাবাদাম
  • মাখন
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যেমন ভিটামিন কে, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ইত্যাদি মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সবচেয়ে বেশি উপকারী। জিঙ্কযুক্ত যেকোনো খাবারই মস্তিষ্ককে ঠাণ্ডা রাখার জন্য খুবই ভালো। জিঙ্কযুক্ত খাবার হলোঃ
  • মাংস
  • মাছের তেল অথবা মাছ
  • পালং শাক
  • কাতিকালাই ডাল
  • দুধজাত খাবার
  • এছাড়াও প্রতিদিনের খাবারে দেশি ঘি দিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।

শিশুর খাবার তালিকা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে কি খাবেন?
উত্তরঃ গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের খাবার তালিকা হলো
  • দুধ
  • দই
  • পনীর
  • ব্রকলি
  • বাঁধাকপি
  • ঢেঁড়স
  • কাঁটাযুক্ত মাছ
  • পালং শাক
  • ডুমুর
  • চিয়াসিড
  • ডিম
  • তিল
  • তিশি
  • আমন্ড
  • এছাড়াও আপনি প্রতিদিন সকালে ১০-১৫ মিনিট রোদ লাগান শরীরে।
প্রশ্নঃ কি খেলে শিশুর বুদ্ধি বাড়ে?
উত্তরঃ আয়রন সমৃদ্ধ খাবার শিশুর বুদ্ধি বিকাশের জন্য অনেক সহায়তা করে থাকে।

প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কয়টি ফল খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন দুই থেকে চারটি ফল খাওয়া উচিত।

প্রশ্নঃ ২ বছরের বাচ্চা কতটুকু ফল খেতে পারবে?
উত্তরঃ ২ বছরের বাচ্চা প্রতিদিন সাধারণত ½ থেকে এক কাপ (বা 120 মিলি) ফল খেতে পারবে।

প্রশ্নঃ ৩ মাসের বাচ্চাকে কি খাওয়ানো যায়?
উত্তরঃ একটি শিশুর জন্মগ্রহণের পর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ান।

প্রশ্নঃ ১ বছরের বাচ্চার দুধের পরিমাণ কত?
উত্তরঃ আপনার সন্তাতের বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে দিনে 16-24 আউন্স (480-720 মিলিলিটার) পর্যন্ত খাওয়াতে পারেন।

শেষ কথা | কি খেলে বাচ্চার ব্রেইন ভালো হয়

আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো শিশুর খাবার তালিকা সম্পর্কে। তার পাশাপাশি আমরা আরো অনেক কিছু সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে উক্ত সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জানতে পেরেছেন। এমন আরো আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রীতে পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url