পালং শাকের ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

আমরা সাধারণত অনেকে পালং শাক খেতে পছন্দ করি। কিন্তু আমরা জানি না এই পালংশাকে রয়েছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ।পালংশাক বিভিন্নভাবে খাওয়া হয়ে থা।তাই আজকে আমি আপনাদের পালং শাকের জুস খেলে কি হয় ,পালং শাক কেন আমাদের খাওয়া উচিত এই নিয়ে পালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব।
পালং শাকের ১০টি উপকারিতা - পালংশাকের জুস খেলে কি হয়
পোস্টসূচিপত্রঃআপনি যদি পালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান এবং সাথে পালং শাকের জুস খেলে কি হয় এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ বিদ্যমান থাকে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপযোগী। পালং শাক এক ধরনের শীতকালীন সবজি হিসেবে পরিচিত। আমাদের দেশে শীতের সময় পালং শাক বাজারে আসা শুরু করে থাকে। আমাদের দেশের মাটি পালং শাক চাষ করার জন্য খুবই উপযোগী এজন্য পালং শাক আমাদের দেশে প্রায় সকল জায়গাতেই চাষ করা সম্ভব হয়।
আরো পড়ুনঃ 
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি পালংশাকের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন এছাড়াও পালং শাকের পুষ্টিগুণ, পালং শাকে কোন ভিটামিন থাকে, পালং শাক খাওয়ার নিয়ম, পালং শাকে কি এলার্জি আছে, পালং শাকের জুসের উপকারিতা, পালং শাকের উপকারিতা এবং পালং শাকের অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এজন্য আপনি যদি এই সকল তথ্য জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে আটিয়ালিটি পড়তে থাকুন।

পালং শাকে কি কি পুষ্টিগুণ থাকে

পুষ্টিবিদদের মতে পালং শাকে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ ।এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। ভিটামিন এর মধ্যে ভিটামিন এ, বি২, সি, ই, কে, আয়রন ,ম্যাগনেসিয়াম ,ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ,জিংক, কপার ও প্রোটিন ।এছাড়াও আরও অনেক ধরনের খাদ্যগুণ রয়েছে ,যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি গুণ মিটিয়ে আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পালং শাক কিভাবে খাওয়া যায়

পালংশাক অনেকে অনেক ভাবে খেয়ে থাকে ,কেউ শাক রান্না করে ভাজা করে অথবা অনেকে ডালের সাথে রান্না করে ,অথবা বিভিন্ন সবজির সাথে বিভিন্ন মাছের সাথে তরকারির সাথে সুপের সাথে মিশিয়ে অনেকেই খেয়ে থাকে ।তবে এইভাবে খাবার থেকে পালং শাকের জুস করে খেলে সবথেকে বেশি উপকারী।

পালংশাকের জুস খেলে কি হয়?

কোন ব্যক্তি যদি পালং শাকের জুস প্রতিনিয়ত পান করে তাহলে সেই ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি পূরণ হবে ।যাদের হাড়ের সমস্যা আছে তাদের আহারের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এছাড়াও যাদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম একটু দুর্বল, তারা যদি প্রতিনিয়ত পালং শাকের রস পান করে সেক্ষেত্রে যেকোনো রোগ থেকে দ্রুত রোগমুক্তি হবে ।
এছাড়া পালং শাকের জুস মানুষের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণ ,স্ট্রোক প্রতিহত করতে ,মাইগ্রেন সমস্যা সমাধান ,স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ,কিডনি সমস্যা দূরীকরণ, হূদরোগ আথ্রাইটিস ইত্যাদি থেকে মুক্তি লাভ করতে সাহায্য করে।

পালং শাক খাওয়ার নিয়ম

আমরা অনেকেই পালং শাক খেতে পছন্দ করি। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর নানারকম পুষ্টিগুণ বিদ্যমান রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আমরা অনেকেই নানা রকম উপায় অবলম্বন করে পালং শাক খেয়ে থাকি। তবে পালং শাক নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে খেলে পালং শাকের পুষ্টিগুণগুলো সুষ্ঠুভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারবে। নিজে পালসা খাওয়ার সঠিক নিয়ম উল্লেখ করা হলো।

আমরা সকলেই জানি পালং শাক কে বিদ্যমান রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। আর এই পুষ্টিগুণ গুলো আমাদের শরীরে সঠিকভাবে যেন প্রবেশ করে সে উপায় গুলো সম্পর্কে আমাদের সকলকেই জানা উচিত। পালং শাক এর নানা রকম পুষ্টিগুণ সম্পর্কে উপরে বর্ণনা করা হয়েছে। আর এই সকল পুষ্টিগুণ গুলোর মধ্যে লুটেইন নামক যে উপাদানটি রয়েছে সেটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান।

আর এই উপাদানটি আমাদের শরীরে ভালোভাবে প্রবেশ করা খুবই জরুরী। কিন্তু আমরা যদি পালং শাক রান্না করে খায় তাহলে এই উপাদানটির গুনাগুন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর এজন্যই অনেক গবেষকগণ পালং শাক কে কাঁচা অবস্থায় খাওয়াকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কাঁচা অবস্থায় পালংশাকে বিদ্যমান লুটেইন উপাদানটি পরিপূর্ণভাবে পাওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই পালং শাককে রান্না করে খেতে বেশি পছন্দ করে।

পালং শাকের জুস খাওয়ার নিয়ম

পালং শাকের জুস আপনি যে কোন সময় খেতে পারেন ,তবে এটি খালি পেটে খেলে বেশি উপকারী। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন সময়ে খাওয়ার পরেও খেতে পারেন ।তবে খাওয়ার সময় ভুলেও পালংশাকের জুসের মধ্যে অতিরিক্ত চিনি ,অতিরিক্ত লবণ এগুলো যুক্ত করবেন না ।

এ ক্ষেত্রে দেখা যাবে আপনার উপকারের থেকে অপকার হবে ।এবং এবং আপনার যে উদ্দেশ্যে আপনি পালন করছেন সেটি পূরণ হবে না।এটি সপ্তাহে দুই দিন দিন পান করতে পারেন ,তাতে কোন রকম সমস্যা হবে না এবং আপনার শরীরের পরিবর্তন এবং উপকার আপনি নিজেই লক্ষ করতে পারবেন।
পালং শাকের জুস কিভাবে তৈরি করবেন

পালং শাকের জুস তৈরি করতে হলে প্রথমে আপনাকে বাজার থেকে ফ্রেশ পালং শাকের পাতা কিনে আনতে হবে ,এবং বাসায় এগুলো ভালোমতো ধুয়ে ঘোড়াগুলো কেটে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র পাতাগুলো টুকরো টুকরো করে কাটতে হবে ।

এরপরে টুকরো করা পাতাগুলো আপনার বাসায় থাকা ব্লেন্ডার যেগুলো করা হয় সেগুলো তে দিতে হবে ।এবং সাথে কিছু পরিমান পানি দিতে হবে সাথে পরিমাণমত 1 টেবিল চামচ পরিমাণ লেবুর রস ,এক টুকরো আদা দিতে পারেন ।এভাবে আপনি খুব সহজেই পালং শাকের জুস করতে পারবেন।

পালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

এবার আমরা জেনে নিব পালং শাকের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে ।তাহলে প্রথমে জেনে নেয়া যাক পালং শাকের উপকারিতা গুলো কি কিঃ-

পালং শাকের উপকারিতা


ওজন কমাতে

পালং শাকের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এছাড়া রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ,আইরন রয়েছে যা শরীরে প্রবেশ করার পর শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে বা অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে।

কোলেস্টেরল কমাতে

পালং শাকের পুষ্টিগুণ মানুষের শরীরের অতিরিক্ত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকে তা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং এর থেকে নিরাময় করতে সহায়তা করে ।যার ফলে হৃদ রোগ থেকে মুক্তি দান করে এবং মানুষের হৃদযন্ত্র কে সুস্থ রাখে।

শরীরের লবণের ভারসাম্য রক্ষা

পালং শাক এরমধ্যে থাকা বিপুল পরিমাণ সোডিয়াম বা লবনের হারিয়ে যাওয়া ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

মস্তিষ্কের সুস্থ রাখে

পালং শাকের এন্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষগুলো সুস্থ রাখে এবং সেগুলোর সতেজ, কর্মক্ষম রাখে এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

হাড়ের ব্যথা নিরাময়ে

যাদের শরীরের হাড়ে ভয়ানক ব্যথা রয়েছে তারা যদি প্রতিদিন নিয়মিত পালং শাক খান এই হাড় বাথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

মাইগ্রেনের সমস্যা দূরীকরণে

যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা হয়েছে তারা যদি প্রতিনিয়ত পালং শাক খেয়ে থাকেন ,তাহলে মাইগ্রেনের ব্যথা উপশমে পালংশাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

রক্তস্বল্পতা থেকে মুক্তি

পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন-সি এবং আয়রন রক্তস্বল্পতা দূরীকরণের ভালো ভূমিকা পালন করে ।প্রচুর পরিমাণ হিমোগ্লোবিন তৈরি করে রক্তের রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করে এবং রক্তস্বল্পতা দূর করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে

পালং শাকে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে সুতরাং মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ।এছাড়াও এটি লিভারকে সুস্থ রাখে এবং শরীরের স্কিনের যে সমস্ত সমস্যা যেমন ব্রন ,ফাংগাল ইনফেকশন ইত্যাদির মতো স্কিন ডিজিজ গুলো থেকে চিরতরে মুক্তি দেয় পালং শাক।

ক্যান্সার প্রতিরোধে

পালং শাক এর মদ্ধে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে দেয় ।যার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধী এবং ক্যান্সার নিরাময়ে এটি ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে

চোখের জন্য পালং শাক উপকারী। নিয়মিত পালং শাক খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে ,চোখে ঝাপসা দেখা বা কম দেখার সমস্যা দূর হয় ।প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জ্যানথিন আছে এই উপাদানগুলো রেটিনার কর্ম ক্ষমতা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে দৃষ্টিশক্তি উন্নতিতে বিশেষভাবে পালন করে।

চুল পড়া রোধে

অতিরিক্ত চুল পড়লে চুলের পরিচর্যায় পালংশাক কাজে লাগে ।পালংশাক যদি মাথাতেই লাগানো যায় বা চুলে নিয়মিত ব্যবহার করা যায় ;পালং শাকের রস ।সে ক্ষেত্রে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুল মজবুত হবে।

ত্বককে উজ্জ্বল করতে

ত্বক উজ্জল করতে পালং শাকের গুরুত্ব অতুলনীয় ।পালং শাকে ভিটামিন কে এবং ফলেট ত্বক ফর্সা করে ,সঙ্গে চোখের নিচের কালো দাগ ব্লাক সার্কেল দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।

পালং শাকের অপকারিতা

প্রতিটি জিনিসের যেমন উপকারী দিক রয়েছে ঠিক তেমনি অপকারিতার রয়েছে ।তাই আমাদের কোনকিছু খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই সে জিনিসের অপকারিতা সম্পর্কে ভালমত জানা উচিত। কেননা সবার জন্য সকল খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নায় ।চলুন দেখা যাক পালং শাকের অপকারিতা কি কিঃ-

কিডনিতে পাথর

পালংশাকের থাকা ক্যালসিয়াম ,অক্সালেট কিডনিতে পাথরের সৃষ্টি করতে পারে ।কেননা পালং শাকের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং অক্সালেট ।সুতরাং কারো যদি পূর্বে কিডনিতে সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই তার পালং শাক খাওয়া যাবেনা ।

রক্ত জমাট বাঁধা

আমরা জানি ভিটামিন কে মানুষের শরীরের রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে ।সুতরাং কারো যদি রক্ত জমাট বাঁধে এবং সেটি পাতলা করতে চান এবং সে জন্য ডাক্তারের পরামর্শমতো ওষুধ খেয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই পালং শাক খাওয়া যাবে না ।কারণ পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে আপনার রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

গ্যাস্টিকের সমস্যা সৃষ্টি

আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় পালং শাক খেতে থাকেন এবং সাথে সাথে অন্যান্য খনিজ পদার্থ খেতে থাকেন, এক্ষেত্রে আপনার শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ পদার্থ গুলো শোষণ করতে পারবে না । যার ফলে হজম হবে না এবং আপনার শরীরে না পেটের মধ্যে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

বাথ ও অস্টিওপোরেসিস

যাদের শরীরের বাত ব্যথার সমস্যা রয়েছে তারা যদি পালংশাক নিয়মিত খেয়ে থাকেন ,তাহলে খুব অল্পসময়ের মধ্যেই আপনি আপনার শরীরে বাত ব্যথার মতো ভয়ানক ব্যথা বাড়তে থাকবে ।সুতরাং আপনার যদি বাতজনিত ব্যথা হয় তাহলে অবশ্যই পালং শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

শেষ কথা ।পালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা ভালোভাবেই পালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছেন।পালংশাক একটি সহজলভ্য এবং খুবই সুস্বাদু একটি খাবার বলা যেতে পারে ।যা আমরা সবুজ শাকসবজি হিসেবে চিনি ।এটি যেহেতু শরীরের জন্য খুবই উপকারী তাই আমাদের সকলেরই এটিকে খাবারের তালিকায় রাখা প্রয়োজন ।তবে মাত্রাতিরিক্ত খেলে আমাদের শরীরের ক্ষতিকর হতে পারে ।তাই আপনি সপ্তাহে 2-3 দিন পালং শাক রান্না করে অথবা পালং শাকের জুস করে খেতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url