পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে - পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আমরা বিভিন্ন কারণে পাসপোর্ট ব্যবহার করে থাকি।যেমন দেশের বাহিরে বিভিন্ন কারণে যাওয়ার জন্য।এছাড়াও নানান কারণে আমরা পাসপোর্ট এর ব্যবহার করে থাকি।আমাদেরমধ্যে এমন মানুষ আছেন যারা পাসপোর্ট করার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য খুঁজে বেড়ায় কিন্তু সঠিক তথ্য কথা খুঁজে পাই না।এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আশা করি আপনি পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত জেনে যাবেন।তাই আপনি যদি পাসপোর্ট তৈরি করার সকল কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে দেশ-বিদেশের সকল মানুষ বিভিন্ন কারণে পাসপোর্ট ব্যবহার করে থাকে। বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত পাসপোর্ট এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে। আমাদের মধ্যে এমন মানুষ রয়েছেন যারা পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি কাগজ লাগে সেই সম্পর্কে জানেন না। আপনি যদি পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কাগজ লাগে এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনার জন্য।

এই সম্পন্ন পোস্টটি জুড়ে আমি পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি লাগে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই আপনি যদি পাসপোর্ট তৈরি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

শুরুতেই জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম সনদ লাগে পাসপোর্ট করতে যা বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নিয়মাবলী মেনে করতে হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত কাগজ পাতি হিসেবে কোন পেশায় থাকলে পেশার প্রমাণপত্র এবং নাগরিক সনদ প্রয়োজন হয়। এছাড়াও যদি আপনি অপ্রাপ্তবয়স্ক হন তাহলে মাতা এবং পিতার জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হয়। আবার NOC অথবা GO লাগে  আপনি সরকারি চাকরিজীবী হলে। 

চলুন এবার দেখে নিই একজন বাংলাদেশী নাগরিকের পাঁচটি কাগজপত্র যা পাসপোর্ট করতে প্রয়োজন যেমন,,
  • আবেদন কপি অনলাইন এর।
  • দ্বিতীয়তঃ রেজিস্ট্রেশন ফর্ম অনলাইনে আবেদনের।
  • তৃতীয়তঃ জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি অথবা যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে তাহলে ইংরেজি জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি।
  • A Challan পাসপোর্ট ফ্রী পরিষদের।
  • সর্বশেষ নাগরিক সনদ।
চলুন এবার আরো দেখেনি পাসপোর্ট তৈরি করতে অতিরিক্ত যে কাগজ পাতি লাগে সেগুলো হল,,
  • যদি শিশু হয় তাহলে মাতা এবং পিতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
  • যদি চাকরিজীবী হয় তাহলে GO অথবা NOC।
  • অরিজিনাল পাসপোর্ট এর ফটোকপি এবং যদি আপনার পূর্ববর্তী কোনো পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে তার ফটোকপি।
  • আপনি যদি চাকরি দিবে হন তাহলে চাকুরীর আইডি কার্ড অথবা পেশাগত সনদের ফটোকপি দিতে হবে।
  • এছাড়াও চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট অথবা নাগরিক সনদ।
  • ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি এবং আপনার ঠিকানার প্রমাণপত্র।
  • এছাড়াও Lab Print 3R size ছবি Gray Background, এটি সাধারনত ৬ বছর কম বয়সে শিশুদের জন্য প্রযোজ্য।
  • যদি পাসপোর্ট হারিয়ে যায় তাহলে পাসপোর্ট হারানো জিডি কপি।
তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন সবার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাগজ পাতি গুলো জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তবে যদি আপনি পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান তাহলে ফটোকপি দেখাতে হয় অরজিনাল পাসপোর্ট এর। তার সাথে সাথে জমা দিতে হয় পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এর ফটোকপি। চলুন এবার আরো কিছু তথ্য সম্পর্কে জেনে নিই।

পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • Registration From এবং Application Summery.
  • জাতীয় পরিচয় পত্র থাকলে জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা যদি না থাকে তাহলে জন্মসনদ।
  • তৃতীয়ত পাসপোর্ট ফ্রি পরিষদের চালান পত্র।
  • যদি প্রযোজ্য হয় তাহলে অন্যান্য কাগজপত্র।
  • চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, কাউন্সিলর অথবা নাগরিক সনদ।
  • মাতা ও পিতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
  • যদি পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান তাহলে পুরাতন পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
  • যদি চাকরিজীবী হন তাহলে GO অথবা NOC.
  • যদি চাকরিজীবী হন তাহলে চাকুরীর আইডি কার্ডের ফটোকপি অথবা পেশাগত সনদের ফটোকপি।
  • আপনি যদি  Spouse Name যুক্ত করতে চান স্বামী এবং স্ত্রীর কামিন নামার ফটোকপি জমা দিতে হবে।
তথ্য নেওয়া হয়েছে ;; Passport Instructions by Department of Immigration & Passports.

প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

যদি আপনার বয়স ১৮ বছর অথবা তার বেশি হয়ে থাকে তাহলে নিচে দেখানো কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। কাগজপত্র গুলো হল,,
  • প্রথমে আপনার নিজস্ব আইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • দ্বিতীয়তঃ আপনি যদি ই পাসপোর্ট আবেদন করতে চান তাহলে ই পাসপোর্ট আবেদনের সামারি।
  • এপ্লিকেশন ফর্ম।
  • আপনি যদি পাসপোর্ট ফ্রী পরিশোধ করে থাকেন তাহলে, চালান জমা দিতে হবে পাসপোর্ট ফ্রি পরিশোধ এর।
  • আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে, স্টুডেন্ট আইডি কার্ড এর ফটোকপি।
  • সর্বশেষ দিতে হবে আপনার নাগরিক সনদ।

প্রি পুলিশ ভেরিফিকেশন

সাধারণত সবার জন্য প্রযোজ্য নয় প্রি পুলিশ ভেরিফিকেশন। এটি শুধুমাত্র তাদের জন্যই প্রযোজ্য যারা অল্প কয়েকদিনের মধ্যে পাসপোর্ট নিতে চাচ্ছে। ধরেন আপনি কোন জরুরী ভিত্তিতে দেশের বাহিরে যেতে চান, অথবা চিকিৎসার কারণে যেতে চান তার জন্য মূলত প্রিপ পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়। অর্থাৎ তারা খোজ খবর নিয়ে দেখেন যে আপনি আদেও সত্যি কথা বলছেন কিনা। তাহলে আশা করি বুঝতে পেরেছেন প্রি পুলিশ ভেরিফিকেশন কি।

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে

সচরাচর আপনাদের মাথায় একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায় যে আমি আমার প্রয়োজনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট তৈরি করব কিন্তু, এই পাসপোর্ট তৈরিতে আমার কত টাকা খরচ হবে। উক্ত বিষয়ে আপনাদের জানতে অনেক আগ্রহ থাকে। কারণ আগে থেকে পাসপোর্ট তৈরি টাকা সম্পর্কে জেনে গেলে সবার সুবিধা হয়। সাধারণত আপনি যদি ৪৮ পেজের পাঁচ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট তৈরি করতে চান তাহলে আপনার রেগুলার খরচ হিসেবে প্রায় চার হাজার পঁচিশ,4025 টাকা খরচ করতে হবে।

এছাড়া আপনার যদি খুব তাড়াতাড়ি পাসপোর্ট নেওয়ার দরকার হয়ে থাকে তাহলে এক্সপ্রেস ফিস প্রায় ৬ হাজার ৩২৫ টাকা দিতে হবে। এছাড়া আপনি যদি সুপার এক্সপ্রেস ফিস দিয়ে পাসপোর্ট নিতে চান তাহলে আপনাকে সর্বমোট ৮,৬২৫ টাকা দিতে হবে। আপনি যদি পাঁচ বছর মেয়াদী না নিয়ে দশ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট নেন তাহলে রেগুলার ফিস হিসেবে আপনি ৪৮ পেজের পাসপোর্ট ৫ হাজার ৭৫০ টাকা দিলে পেয়ে যাবেন।

এছাড়া আপনি যদি জরুরী ভিত্তিতে এক্সপ্রেস ফিস হিসেবে দিতে হবে ৮,০৫০ টাকা। আর আপনি যদি সুপার এক্সপ্রেস ফিস দিয়ে পাসপোর্ট নিতে চান তাহলে সর্বমোট টাকা দিতে হবে ১০,৩৫০ টাকা। তাহলে আশা করি আপনি সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন যে আপনি যদি একটি পাসপোর্ট করতে চান তাহলে কত টাকা খরচ হতে পারে।

পাসপোর্ট সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান ও প্রশ্ন উত্তর FAQ

প্রশ্নঃ হারানো পাসপোর্ট রি ইস্যু করতে কি  লাগে?
উত্তরঃ সাধারণত আবেদন করতে হয় হারানো পাসপোর্ট রি ইস্যু করতে। এক কথায় বলতে গেলে এর প্রক্রিয়া নতুন পাসপোর্ট তৈরি করার মতন। নতুন পাসপোর্ট এর মত সম্পূর্ণ ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়। তার সাথে সাথে জমা দিতে হয় হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্ট এর ফটোকপি।

প্রশ্নঃ জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করা যায়?
উত্তরঃ যদি আপনি পাসপোর্ট করতে চান অথচ আপনার এখনো ১৮ বছর সম্পূর্ণ হয়নি। তাহলে আপনি চাইলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের বদলে জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে আবেদন করতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার মাতা এবং পিতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি দিতে হবে সমস্ত কাগজ পাতির সাথে।

প্রশ্নঃ পাসপোর্ট ছাড়া পাসপোর্ট নাম্বার কিভাবে বের করব?
উত্তরঃ আপনি যদি পাসপোর্ট ছাড়া পাসপোর্ট নাম্বার বের করতে চান তাহলে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে এটির জন্য অনুরোধ করতে পারেন।

প্রশ্নঃ পাসপোর্ট এর আবেদন করতে কি কি লাগে?
উত্তরঃসাধারণত পাসপোর্ট তৈরি করতে জাতীয় পরিচয় পত্র, নাগরিক সনদপত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র এবং পেশা প্রমাণের কাগজ লাগে।

শেষ কথা

এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি কাজে লাগে তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। সর্বশেষ সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url