চোখে ঝাপসা দেখার কারণ ও প্রতিকার - চোখের সমস্যা বোঝার উপায়
চোখ মানুষের মহামূল্যবান অঙ্গ।জীবনের সবচেয়ে বড় উপহারগুলির মধ্যে একটি হল চোখ। আর এই চোখে সমস্যা হলে করনীয় কি তা অনেকেই জানে না। এছাড়া চোখে ঝাপসা দেখার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া উচিত। তাই আপনাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে চোখের সমস্যায় করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

ভূমিকা
সৃষ্টিকর্তার মহামূল্যবান দান হলো আমাদের এই চোখ। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে চোখ দিয়েছেন বলেই আমরা পৃথিবীর সকল কিছু সুন্দর ভাবে দেখতে পাচ্ছি। চোখ মানুষের মহামূল্যবান অঙ্গ।চোখের কারণেই আমরা আমাদেরচারপাশে সকল কিছু অনুভব ও দেখতে পারি। এ চোখ যদি খারাপ বা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে আমাদের মানব দেহে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতাতে প্রভাব ফেলে চোখ। এই চোখের কোন ক্ষতি হলে তার প্রভাব পড়তে থাকে আমাদের শরীরে। তাই আমাদের চোখ ভালো রাখতে চোখের যত্ন এর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। আজকে আমরা চোখের যত্নে করণীয় বা চোখের বিভিন্ন রোগসমূহ নিয়ে আলোচনা করব। নিচে চোখের রোগ সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
চোখের রোগ সমূহ
আমাদের চোখে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে যা আমরা ভাবতে পারি না। এই চোখের রোগ গুলো বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তাই আমাদের চোখের বিষয়ে সাবধান হতে হবে। চোখের রোগ সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
- ম্যাকুলার এডিমা(Macular edema)
- রেটিনার বিচু্যতি(Retinal disorders)
- আঘাতমূলক ছানি(Traumatic cataract)
- ডায়াবেটিক রেটিনা ক্ষয়(Diabetic retinal degeneration)
- ছানি(Cataract)
- গ্লুকোমা(Glaucoma)
- রেটিনোপ্যাথি প্রিম্যাচুরিটি(Retinopathy of prematurity)
- কনজাংটিভাইটিস
নিচে কয়েকটি রোগের বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হলোঃ
ছানি(Cataract) ঃ চোখের এক ধরণের লেন্স রয়েছে যা পরিষ্কার দেখতে সাহায্য করে। ছানি হল চোখের একটি অবস্থা যা চোখের লেন্সকে ঝাপসা করে তোলে, যা আমাদের পক্ষে পরিষ্কারভাবে দেখতে অসুবিধা করে এবং স্বাভাবিক দৃষ্টিতে বাধা দেয়। বয়সের সাথে সাথে এই অবস্থার প্রকোপ বাড়ে। যাইহোক, অল্প বয়স্ক ব্যক্তিরাও এই রোগে সংক্রামিত হতে পারে।
ডায়াবেটিক রেটিনা ক্ষয়ঃ এটি এমন একটি অবস্থা যা রক্তে ক্রমাগত উচ্চ গ্লুকোজের মাত্রার ফলে রেটিনার রক্তনালীগুলিকে চলমান ক্ষতি বজায় রাখে। ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির রোগীদের অবস্থা গুরুতর না হওয়া পর্যন্ত দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন হয় না।
গ্লুকোমাঃ গ্লুকোমা চোখের একটি সাধারণ সমস্যা। এই অবস্থার দ্বারা অপটিক নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা অন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হয়। এই রোগটি সাধারণত যাদের বয়স পঞ্চাশের ঊর্ধ্বে সেসব লোকেদের এ রোগটি বেশি হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। গ্লুকোমা থেকে অন্ধত্ব হতে পারে।
কনজাংটিভাইটিসঃ এটি চোখের অসুস্থতার একটি রূপ যা কার্যত প্রত্যেককে প্রভাবিত করে। যেহেতু কনজাংটিভা, একটি ঝিল্লি যা চোখের লাইনে স্ফীত হয়, এটি কনজাংটিভাইটিস নামে পরিচিত। "চোখ রোলিং" বা চোখ ওঠা অসুস্থতা এই অবস্থার সাধারণ নাম। যদিও এটি সারা বছরই ঘটে, তবে সাধারণত বর্ষাকালে এই রোগের প্রকোপ বেশি থাকে। সাধারণত, সবচেয়ে বেশি আর্দ্রতা সহ ঋতু যখন এই রোগটি বেশি হয়। ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া সাধারণত চোখের সংক্রমণের জন্য দায়ী। এই রোগটি ছাড়তে 9-15 দিনের বেশি লাগতে পারে । কিন্তু কিছু লোকের 20 দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
উক্ত রোগগুলো অনেক গুরুতর। এছাড়া আরো অনেক রোগ রয়েছে যা সাধারণ আমাদের সকলের জানা।
- চোখ ফোলা এবং লাল
- দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হওয়া
- আলোতে সংবেদনশীলতা
- দৃষ্টিশক্তি হারানো।
- চোখ বন্ধের সময় পর্দা সংবেদনশীল হওয়া।
- চোখ লাল হওয়ার
এই রোগ গুলো সকলের কম বেশি হয়ে থাকে। তবে চিন্তার কারণ নেই। আমরা এই রোগগুলো থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে আলোচনা করব।
চোখে যত্নে করণীয় কি
আমাদের চোখকে রক্ষা করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি বা সতর্কতা অবলম্বন করতে পারি। আসুন তাহলে আমরা জেনে নেই সতর্কতা গুলোঃ
- শরীরের অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপের দ্বারা চোখ প্রভাবিত হতে পারে। এতে রেটিনার রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।আপনি যখন আয়নায় আপনার চোখ পরীক্ষা করবেন, আপনি এটি লক্ষ্য করবেন না। সুতরাং, যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ থাকে, তাহলে নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- আজকাল প্রত্যেকের চোখ বেশিরভাগই কম্পিউটার, টিভি বা মোবাইল ডিভাইসের স্ক্রিনে থাকে। ফলে চোখের দৃষ্টি প্রায়ই ঝাপসা হয়ে যায়।চোখ অতিরিক্ত ক্লান্ত হলে, এটি ঘটতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীরা প্রায়শই এই লক্ষণটি বলে থাকে। এটি ম্যাকুলার ডিজেনারেশন বা ছানি পড়ার উপসর্গও হতে পারে।
- অনেক সময় ঘুম না হওয়ার কারণে চোখ লাল হয়ে যায় এবং অস্বস্তি হয়। এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে।
- সকল মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের চোখের দৃষ্টি ক্ষমতা কমতে থাকে। কেউ দেখতে পায় দূরে জিনিস আবার কেউ কাছের জিনিস দেখতে পায় না। অনেকে আবার কাছে দেখতে পায় কিন্তু দেখতে পায় না। এমনটি হলে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
- প্রথমে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন। সর্বোত্তম শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখা আপনার চোখের ব্যাধি বা চাক্ষুষ সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করবে। একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা, একটি সুষম খাদ্য খাওয়া, সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন কমপক্ষে 30 মিনিট ব্যায়াম করা, ধূমপান ত্যাগ করা ইত্যাদি কয়েকটি উদাহরণ।
- অতিবেগুনী (UVA এবং UVB) আলো থেকে আপনার চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন। খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করার সময় বা বাণিজ্যিক বা ঘরোয়া প্রকল্পে কাজ করার সময়, উপযুক্ত প্রতিরক্ষামূলক চশমা পরিধান করুন। দীর্ঘ সময়ের জন্য ফোন এবং ল্যাপটপ ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। প্রতি ৩০ মিনিটে, আপনার চোখকে বিশ্রাম দিতে এবং দূরবর্তী বস্তুগুলিতে মনোনিবেশ করতে এক মিনিট সময় নিন।
- ঘনঘন পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে নিবেন। ফলে আপনার চোখ সবসময় পরিষ্কার থাকবে। চোখ বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পাবে।
- সূর্যের আলো অর্থাৎ রোদ থেকে চোখকে রক্ষা করার জন্য আপনি সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন। ফলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্নি থাকে আমাদের চোখ রক্ষা পাবে।
- দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করলে অর্থাৎ কাজ করার সময় মাঝে মাঝে বিরতি নিবেন। একটানা কখনো কাজ করবেন না এর মাঝে হালকা বিরতি নিবেন। ফলে আপনার চোখ ভালো থাকবে।।
- এছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় নাইট মোড ব্যবহার করতে পারেন। কারণ ফোন থেকে সরাসরি ক্ষতিকর নীল আলো চোখে আসে তাই এই ক্ষতি থেকে বাঁচতে মোবাইল ফোনে ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যবহার করতে পারেন। প্রায় সব ফোনে এই ফিচারটি থাকে।
- সকল ইলেকট্রনিক পর্দা ডিভাইস থেকে আপনার চোখকে নিরাপদ দূরত্ব রাখুন। ল্যাপটপ কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন থেকে আপনার চোখকে নিরাপদ দূরত্বে রাখবেন। মোবাইল ফোন থেকে অন্তত ২৫ সেন্টিমিটার এর বেশি দূরত্ব থেকে ব্যবহার করবেন।
আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন কিভাবে আপনি আপনার চোখের যত্ন নিবেন।
চোখের সমস্যায় করণীয় - চোখে ঝাপসা দেখার কারণ ও প্রতিকার
এখন আমরা চোখে সমস্যায় করণীয় - চোখে ঝাপসা দেখার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানব।
অনেক ক্ষেত্রে, ফোলা চোখের অর্থাৎ চোখ ওঠা জন্য ভাইরাস দায়ী। উপরন্তু, ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ সম্ভাব্য এই সমস্যার কারণ হতে পারে। এর ফলে চোখ লাল হয়ে যায় এবং খচখচে ভাব থাকে। খিঁচুনি এবং ব্যথা হয়ে থাকে। ভাইরাসগুলি সাধারণত চোখের সমস্যার জন্য দায়ী। অপরিষ্কারভাবে জীবন যাপনের ফলে এই রোগটি হয়ে থাকে।এরূপ সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে আপনার চোখে পরিষ্কার জল ছিটিয়ে নিবেন। আপনার চোখে যেন কোনো ধুলো বা দূষিত পানি না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। চোখ আঠালো হলে বারবার পরিষ্কার পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। অযথা চোখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকবে।
যদি আপনার চোখ সংক্রামিত হয়, তবে আরও অনেকের চোখে এটি সংক্রমণ হতে পারে। তাই চোখের সমস্যা থাকলে ঘরেই থাকুন। যদি আপনাকে বাইরে যেতেই হয় তবে আপনার সানগ্লাস পরুন। ফলে আপনার চোখ নিরাপদে থাকবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে সূর্যের আলোর ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারবেন।
ভাইরাস সংক্রমণ বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে। ফলস্বরূপ, আপনি প্রতিদিন তিন থেকে চার বার চোখের ড্রপ প্রয়োগ করতে পারেন। এমনকি যদি সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া না হয়, ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে সেকেন্ডারি সংক্রমণ বন্ধ করতে। চোখের চুলকানির জন্য ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। তবে ডাক্তারের নির্দেশনা ঠিকমত মেনে চলুন। নিজে থেকে কখনই ড্রপ বা ওষুধ খাওয়াবেন না। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হতে পারে।
এক কথায় আপনার চোখে যদি গুরুতর কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তার বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ডাক্তারের কথা অনুযায়ী আপনি ওষুধ এবং ড্রপ ব্যবহার করবেন। নিজে থেকে কোন ঔষধ বা ড্রপ ব্যবহার করবেন না এতে ভালো চেয়ে বরং ক্ষতি হবে বেশি। তাহলে আমরা জানতে পারলাম চোখের সমস্যার করনীয় কি?
চোখ পরিষ্কার করার উপায় কি?
চোখ পরিষ্কার করার মাধ্যমে আমরা আমাদের চোখকে ভালো রাখতে পারি। ঘন ঘন ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখে ঝাপটা দিয়ে চোখকে পরিষ্কার করা যায়। এছাড়াও গোলাপ জল দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা খুবই উপকারী। গোলাপ জল দিয়ে চোখ ধুলে আপনার চোখ ঠান্ডা হবে এবং মুহূর্তে চোখে ক্লান্তি ভাব দূর হবে। চোখে বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখ খোলা, চোখের নিচে কালো দাগ ও চোখ লাল হয়ে গেলে গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও চোখ পরিষ্কার করার জন্য এক প্রকার ড্রপ পাওয়া যায় যেটি ব্যবহার করে আপনি আপনার চোখে ময়লা বা ক্ষতিকর জীবাণু দূর করতে পারেন। এই ড্রপ অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করবেন। চোখকে পরিষ্কার রাখতে এলোভেরা জেল খুবই উপকারী। প্রতিদিন চোখের নিচে হালকা করে এলোভেরা জেল চোখের পাতায় লাগিয়ে নিবেন। এভাবে আপনি আপনার চোখ পরিষ্কার করবেন। তাহলে আমরা জানলাম চোখ পরিষ্কার করার উপায় গুলো।
চোখের সমস্যা বোঝার উপায়
অনেকগুলো কারণ রয়েছে যা দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার চোখের সমস্যা হয়েছে কিনা।
- চোখে ব্যথা করা
- চোখে ঝাপসা দেখা
- চোখ ওঠা
- চোখ লাল হয়ে যাওয়া
- চোখে রক্ত জমাট বাধা
- চোখে চুলকানি
- কাছে জিনিস দেখতে সমস্যা
- দূরে জিনিস দেখতে সমস্যা
- চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া
- চোখে অঞ্জনি হওয়া
এই সমস্যাগুলো আমাদের দৈনিক জীবনে অনেক সময় হয়ে থাকে। এর যথাযথ চিকিৎসা করলে ঠিক হয়ে যায়। অনেকে জানতে চেয়েছেন যে কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের সমস্যা হয়। তাহলে জানা যাক কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের সমস্যা হয়। ভিটামিন এ আমাদের চোখের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিনের এ অভাবে চোখে রাতকানা রোগ হয়। তাছাড়া চোখের আদ্রতা বজায় রাখতে ভিটামিন এ কার্যকরী।
চোখ লাল হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
বিভিন্ন কারনে চোখ লাল হয়ে যেতে পারে।চোখের জ্বালা, চোখের ঘা, চোখের গ্লুকোমা, চোখের সার্জারি, অনির্দিষ্ট ওষুধ, ইউভাইটিস, অ্যালার্জেনিক খাবার খাওয়া, চোখে ধুলো, এবং লেদ চালানোর সময় চোখে লোহার কণা বা টুকরো ইত্যাদি কারণে চোখ লাল হতে পারে। এছাড়া যাদের চোখে এলার্জি আছে তাদের ও চোখ লাল হয়ে যেতে পারে। দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার স্কিন ব্যবহারে ফলে চোখ লাল হয়ে যেতে পারে। চোখ লাল যদি না হয় তার জন্য কি করবেন তা সম্পর্কে আমরা জানবো অর্থাৎ এর প্রতিকার সম্পর্কে জানব।
- কিছু কিছু খাবার খেলে চোখে এলার্জি সমস্যা হয়। ফলে চোখ লাল হয়ে যায়। এমন খাবার থেকে বিরত থাকবেন। খাওয়ার আগে অবশ্যই জেনে নেবেন কোন খাবারটি আপনার জন্য এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে। সেই খাবার গুলো খাবেন না।
- দীর্ঘসময় ধরে কম্পিউটার ব্যবহার করবেন না। ব্যবহার করার সময় অবশ্যই মাঝে মাঝে বিরতি নিবেন। কম্পিউটারে স্কিন থেকে চোখকে রক্ষা করার জন্য বর্তমানে এক প্রকার সানগ্লাস পাওয়া যায় যেটি ব্যবহার করে আপনি আপনার চোখকে সুরক্ষা করতে পারবেন।
- চোখে কোন ধরনের অস্বস্তি হলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
এভাবে আমরা চোখ লাল হওয়ার আগে সতর্ক থাকবো। তাহলে আমরা জানলাম চোখ লাল হওয়ার কারণ এবং প্রতিকার।
চোখের ব্যায়াম
চোখের ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমরা আমাদের চোখকে ভালো রাখতে পারি। চোখের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য চোখের ম্যাসাজ করা খুবই কার্যকরী।ম্যাসাজ করার মাধ্যমে চোখের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। সামনে পরিমান নারিকেল তেল ও অলিভ অয়েল হাতে লাগিয়ে চোখে চারপাশে ম্যাসাজ করা যেতে পারে। ধীরে ধীরে প্রতিদিন একবার ম্যাসাজ করুন।
ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলা একটি ব্যায়াম। আপনি প্রতিদিন পাঁচ মিনিট ধরে চোখের পাতা ফেলাও খুব কার্যকরী। এছাড়া আপনি আপনার চোখের মনি ঘুরিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। চোখ টিকে চারবার ঘোরান, প্রতিটি দিকে একবার। এরপর দুই থেকে তিন সেকেন্ডের জন্য চোখ বন্ধ করুন। এই ব্যায়ামটি প্রতিদিন দুবার করুন। চোখের পেশী ঠিক রাখতে হলে।
আমাদের মন্তব্য
আশা করি উপরোক্ত আলোচনায় আপনারা জানতে পেরেছেন চোখের রোগ সমূহ,চোখে যত্নে করণীয় কি? চোখের সমস্যায় করণীয়,চোখ পরিষ্কার করার উপায় কি? চোখের সমস্যা বোঝার উপায়,চোখ লাল হওয়ার কারণ ও প্রতিকার এবং চোখের ব্যায়াম ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। চোখ আমাদের মহামূল্যবান সম্পদ। তাই এটি ভালো রাখার দায়িত্ব আমাদের।
আজকে আমরা চোখের যত্নে করণীয় কি নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন। আর এমন তথ্য পেতে আমাদের পাশে নিয়মিত থাকবেন। কোন প্রকার ভুলত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।