ব্রণ দূর করার উপায় - মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত জেনে নিন
ব্রণ দূর করার উপায়-প্রিয় পাঠক আপনারা কি মুখে ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন। বেশিরভাগ সময় বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের এই সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। আজকে আমরা ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যা জানলে আপনি মুখের ব্রণ দূর করতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক ব্রণ দূর করার উপায় এবং মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত সম্পর্কে।
আপনি যদি মুখে ব্রণ দূর করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু নিয়ম ও উপায় অবলম্বন করতে হবে যা আমরা আজকের পোস্টটিতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
ভূমিকা
প্রিয় বন্ধুরা এমন কেউ নাই যে ব্রণ হয় না কারো কম কারো বেশি। আর সবচেয়ে বড় হচ্ছে তৈলাক্ত মুখ। তে রক্ত মুখ থাকলে অনেকটাই বিরক্ত করা লাগে। তাই আসুন আমরা জানবো ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানব এবং মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত তা সম্পর্কে বিস্তারিত এই পোস্টের ভিতরে আলোচনা করা হবে তাই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
তেলক্ত মুখের জন্য আমরা অনেকেই অনেক ধরনের ক্রিম ইউজ করে থাকি আসলে আমরা ক্রিম ইউজ করার পরও কিছু সময়ের জন্য তেলাক্ত মুখের ভাবটা চলে যায়। আবার দেখা যাচ্ছে যাদের মুখে অনেক গেমে যাই তাদের কিন্তু তেলাক্ত ভাব বেশি হয়ে থাকে।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান: প্রতিদিন যত্নের সাথে প্রায় ৮ গ্লাস পানি খাওয়ান৷ এটি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং তৈলাক্ত ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখতে সাহায্য করতে পারে৷
উপযোগী শাওয়ার জেল এবং সাবান: ত্বকে উপযোগী শাওয়ার জেল এবং সাবান ব্যবহার করুন যা ত্বকে তাপমাত্রা সম্প্রীত করবে এবং অধিক তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযোগী থাকবে৷
বিশেষজ্ঞ ডার্মাটোলজিস্টের সাথে যোগাযোগ করুন: যদি ব্রণ সমস্যা হয় বা এটি সবাধিক চিন্তা করতে হয়, তাদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং একটি উপযোগী চিকিৎসা প্রাপ্ত করুন৷
প্রতিদিনের স্কিনকেয়ার: প্রতিদিনের স্কিনকেয়ার প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযোগী পন্ধরুম এবং মোইস্চারাইজার ব্যবহার করা হতে পারে৷
পোর নিয়ন্ত্রণ করুন: পোর মুক্ত রাখার জন্য প্রতিদিনে মুখে নিম বা গুলাপজল দিয়ে ধোয়া করুন এবং পরিস্থিতি অনুসারে একটি গুড়িয়ে ব্যবহার করুন৷
উপযোগী আহার: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযোগী আহার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি, ওটস, এবং উচ্চ পুষ্টিযুক্ত খাদ্য খাওয়া উচিত ৷
আশা করছি উপরের এগুলা আপনি ব্যবহার করলে বা নিয়ম মেনে চললে অনেকটাই উপকার হবে এবং যদি এগুলোতে আপনার কাজ না হয় তারা অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তার সঙ্গে পরামর্শ করবেন।
ব্রণের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো
ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়
বর্তমানে কিশোর কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালে ব্রণের সমস্যাটা বেশি দেখা যায়। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। এই ব্রণ কিভাবে দূর করবেন তা নিয়ে আমরা এখন বিস্তারিত আলোচনা করব। একটি নির্দিষ্ট বয়স পরে ছেলেদের ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। তবে এই ব্রণের সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। চলুন আমরা ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো জেনে নেই।
আমাদের ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে মুলতানি মাটির গুড়ো অনেক কার্যকরী। পানির সঙ্গে পরিমাণ মতো মুলতানি মাটির গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করবেন। পেস্টটি রাতে ঘুমানোর আগে মুখের যে অংশে ব্রণের দাগ রয়েছে সেই অংশে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন, এছাড়া আপনি চাইলে উক্ত মিশ্রণটি দিনের বেলা ব্যবহার করতে পারেন।
কিছুদিন ব্যবহার করলে ব্রণের দাগ দূর হয়ে যাবে।এছাড়া আপনারা ছেলেরা ঘরে বসে বরফের সাহায্যে ব্রণ দূর করতে পারেন। বরফ নিয়ে কাপড়ের সঙ্গে পেচিয়ে আপনার ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন আপনার ব্রণ আস্তে আস্তে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। এভাবে কয়েকদিন লাগান দেখবেন ব্রণ দূর হয়ে যাচ্ছে।
ব্রনের দাগ দূর করতে এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরার ডালের অংশ ভেঙে গারো তরল অংশ বের করে রাতে ঘুমানোর আগে মুখে লাগিয়ে রাখুন। সকালে উঠে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন লাগালে ব্রণের দাগ দূর হয়ে যাবে।
এছাড়া আপনারা লেবুর সঙ্গে হলুদ গুঁড়া মিশ্রিত করে পেস্ট তৈরি করতে পারেন। যেটি প্রতিদিন গোসল করার আগে ৩০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখবেন এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। এভাবে এক সপ্তাহ লাগান ইনশাল্লাহ মুখে ব্রণ দূর হয়ে যাবে।
ব্রণ দূর করার উপায়
আমাদের শরীরের প্রধান সৌন্দর্যের অংশ হল মুখ। কারণ আমরা সবাই এই মুখের মাধ্যমেই মানুষকে চিনি। এই মুখের সৌন্দর্য কে না চায়? যাইহোক, যখন এই সুন্দর মুখের ত্বকে বড় ব্রণ দেখা দেয়, তখন এটি খুব খারাপ দেখায়। ছেলে-মেয়েরা লজ্জায় ঘর থেকে বের হয় না। মুখের ব্রণ প্রায়ই মানুষকে অবাক করে তোলে যে তাদের মুখে কী হয়েছে। এবং এই শব্দগুলি আরও বেশি আঘাত করে। আমরা আপনাকে বলব কিভাবে আপনার মুখের ব্রণ কমাবেন বা কিভাবে আপনি আপনার মুখের ব্রণ কমাতে পারবেন।
আমাদের বাংলাদেশে হলুদের চাষ হয়। তরকারিতে মসলা হিসেবে হলুদ ব্যবহার করা হলেও আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তার অনেক ব্যবহার দেখতে পাই। হলুদের গুণাগুণ সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই। ওষুধ হিসেবেও কাঁচা হলুদ ব্যবহার করা হয়। কাঁচা হলুদ আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা হলুদ আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং আমাদের ত্বকের ক্ষুদ্রতম কোণে আটকে থাকা জীবাণু ধ্বংস করে। যাতে তারপর থেকে আমাদের মুখে ব্রণ হয় না।
আপনারা লেবুর গুনাগুনের কথা অনেক শুনেছেন। আপনারা কি জানেন লেবুর ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন লেবুর রস নিয়ে আপনার মুখে ব্রনের উপর লাগিয়ে রাখবেন। শুকিয়ে গেলে তারপর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।
আপনার নিশ্চয়ই নিমপাতার বিশেষ গুনাগুন সম্পর্কে জানেন। নিম পাতা আমাদের অনেক উপকার করে থাকে। এই নিম পাতা বেটে প্রতিদিন ৩০ মিনিট আপনার মুখে ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখবেন। কয়েকদিন ব্যবহার করার পর দেখতে পাবেন আপনার ব্রণ আস্তে আস্তে কমে আসছে।
মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত
মুখের ব্রণ হলে কি মাখা উচিত আপনারা হয়তো অনেকে জানেন না। মুখে ব্রণ দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের বাজারে ক্রিম পাওয়া যায় যা আপনারা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ঘরোয়া উপায়ে কিছু মিশ্রণ বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। চলুন জেনে নেই কোন কোন ক্রিম আপনারা ব্যবহার করতে পারেন মুখে ব্রণ হলে।
- Betameson N cream
- Betadern N cream
- Betaval-N cream
- Betavate N cream
- Mexidern N cream
- Neocort cream
- Neobet 5 cream
- Aristobet-N cream
উক্ত ক্রিমগুলো ব্যবহার করার আগে অবশ্যই পেশাদার এক্সপার্ট এর কাছে পরামর্শ নিবেন। আর হ্যাঁ অবশ্যই অরজিনাল ক্রিম ব্যবহার করবেন। কারণ বাজারে অনেক ধরনের একই নামে ক্রিম রয়েছে যা মূলত নকল ব্যবহার করলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। তাই সতর্ক থাকবেন।
শেষ কথা
আশা করছি পোস্টটি পড়ে আপনি অনেকটাই বুঝতে পেরেছেন ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে। এবং আরও জানতে পেরেছেন কোন কোন ক্রিম ইউজ করলে মুখে ব্রণ হয় না তা সম্পর্কে এই পোস্টের মধ্যে আপনারা জানতে পেরেছেন যদি এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করবেন এবং এরকম নতুন পোস্ট দেখতে চাইলে অবশ্যই ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন।