আজকের ইনফো https://www.ajkerinfo.com/2022/07/kkurbanir-poshu.html

কুরবানীর পশু কেমন হতে হবে ? কুরবানীর পশুর বৈশিষ্ট্য


প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম ।মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব হল ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদ ।এবং এই ঈদে প্রধান কাজটি হলো পশু কোরবানি দেওয়া এর মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। কিন্তু সেই পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য শর্ত মেনে কোরবানি দিতে হবে ।আজকে আমি আপনাদেরকে কোরবানির পশু কেমন হতে হবে এবং কুরবানীর পশুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করব।

কুরবানীর পশু কেমন হতে হবে ? কুরবানীর পশুর বৈশিষ্ট্য

সূচিপত্রঃ কুরবানীর পশু কেমন হতে হবে ? কুরবানীর পশুর বৈশিষ্ট্য

কুরবানীর পশু কেমন হতে হবে

কুরবানী দেওয়ার জন্য একটি পশুর কেমন হতে হবে বা কুরবানীর পশুর বৈশিষ্ট্য কি থাকা প্রয়োজন চলুন জেনে নেওয়া যাক-

  • কুরবানীর পশু অবশ্যই চার পা বিশিষ্ট পশু হতে হবে।
  • কোরবানির পশু সুস্থ সবল এবং পুষ্টবল সম্পন্ন হতে হবে।
  • কোরবানির পশুর অবশ্যই সিং থাকতে হবে সিং ভাঙলে কুরবানী করা যাবে না।
  • পশু টির কোন শারীরিক সমস্যা থাকলে সেই পশু গুলো কুরবানী করা যায় না।
  • কোন পশু অন্ধ  খোঁড়া বা অতিরিক্ত বয়স্ক হলে সেসকল পশুর কুরবানী করা যাবে না।
  • স্ত্রী অথবা পুরুষ যে কোন পশু দিয়ে কোরবানি করা যাবে তবে পুরুষ পশু দিয়ে কোরবানি করা উত্তম।
  • কোন পশুর কানকাটা বা কানের অংশ ছিদ্র হয়ে থাকলে এসকল পশুর কুরবানী হয় না।

কোন পশু গুলো কোরবানি করা যাবে

ইসলামের শরীয়ত মতে উট ,ছাগল গরু ,মহিষ ,দুম্বা ,ভেড়া ইত্যাদি দিয়ে কুরবানী করা যাবে । তবে মহিষের ক্ষেত্রে অনেক ওলামা একরাম কোরবানির জন্য বা কোরবানির পশুর কাতারে এটিকে ধরেননি, কেননা মহিষ গরুর সাথে এক ধরা হয়েছে ।তাই তবে মহিষ দিয়ে কোরবানি করা যাবে ।এছাড়া যে কোনো ধরনের বন্যপ্রাণী হরিণ ,বন্য গাভী এগুলো দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ না।

আরো পড়ুনঃ তারাবি কত রাকাত? - তারাবি না পড়লে রোজা হবে কি?

আর এ ছাড়া যেমন বিভিন্ন ধরনের পশু প্রাণী মুরগি ,হাঁস ,কবুতর এগুলো কোরবানি করা যাবে না তবে এগুলোর মাংস খাওয়া যায় ।সুতরাং কোরবানি দেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ইসলামের শরীয়ত অনুযায়ী যেসব পশু কোরবানিতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেগুলোর বাইরে কুরবানী দেওয়া যাবে না।

কুরবানীর পশুর বয়স

কোরবানির পশুর বয়স কেমন হওয়া উচিত অর্থাৎ একটি পশু কোন বয়সে কোরবানি দেওয়ার জন্য উপযুক্ত হবে সেগুলো হলো

উট-উট কমপক্ষে পাঁচ বছর বয়সে উপনীত হলে সেই উট কুরবানী দেওয়া যাবে।

গরু-গরু ও মহিষ কমপক্ষে দুই বছর বয়সে উপনীত হলে সেটি কুরবানী দেওয়া যাবে।

ছাগল, দুম্বা ,ভেড়া-কমপক্ষে এক বছর বয়সে উপনীত হলে এগুলো দাঁড়া কোরবানি দেওয়া যাবে।

এগুলো বয়সের নিচে যদি কোন পশুর বয়স হয়ে থাকে সেই সমস্ত প্রশ্ন গুলো কোরবানির জন্য উপযুক্ত হবে না তবে এমনি সাধারণ মাংস খাওয়ার জন্য এগুলো খাওয়া যেতে পারে তবে কুরবানীর জন্য জায়েয নয়।

আরো পড়ুনঃ ইফতারির পূর্বে যে ৫টি ভুল করবেন না- ইফতারের সময় করণীয়

সাত ভাগে কুরবানী হবে কি না

অনেকেরই প্রশ্ন থাকে যে একটা গরু বা একটা উট এর সাত ভাগে কুরবানী দেওয়া হবে কিনা ।অনেক আগে থেকেই প্রচলিত হয়ে আসছে এবং মানুষজন গরু ,মহিষ, উট পশু গুলো সাতটি ভাগে কুরবানী দিয়ে থাকে ।কিন্তু বর্তমানে কিছু স্কলার গণ এর আলোচনা সাপেক্ষে অনেকের মনে বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন জাগ্রত হচ্ছে।কুরবানী সাত ভাগে দেওয়া ইসলামে জায়েজ রয়েছে এতে কোন সমস্যা নেই ।একটি পশু তে আপনি সর্বোচ্চ সাতটি ভাগে কুরবানী দিতে পারেন।

কাদের কোরবানি দেওয়া জায়েজ

কাদের জন্য কোরবানি দেওয়া জায়েজ ,কত টাকা থাকলে কুরবানী দেওয়া বাধ্যতামূলক ?এক্ষেত্রে বলা যাবে যাদের সামর্থ্য আছে নিজ নিজ সামর্থ মত কুরবানী দিতে হবে ।অর্থাৎ আপনার যদি সামর্থ্য থাকে অবশ্যই আপনাকে কোরবানি দিতে হবে ।এক্ষেত্রে মহান আল্লাহর রাসুল বলেন - যার সামর্থ থাকা সত্ত্বেও কুরবানী না করে সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে।

অর্থাৎ আল্লাহর রাসূল কঠিনভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কুরবানি দেয়ার ক্ষেত্রে ।এবং জানিয়ে দিয়েছে যাদের সামর্থ্য আছে নিজের সামর্থের মধ্যে স্বামী স্ত্রী সন্তান ইত্যাদি সামর্থ্য থাকলে কুরবানী দেওয়া যাবে।

গুরুত্বপূর্ণ কথা

কোরবানি ঈদে আমরা যার যার সামর্থ্য মতে কোরবানি দিয়ে থাকি এবং কোরবানি দেওয়ার সময় যেন আমাদের মনের নিয়ত ঠিক থাকে। এবং কোরবানির মাংসের সুষম বন্টন যেন ঠিক থাকে এদিকে আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে ।মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি অর্জন করায় যেহেতু কুরবানীর মূল উদ্দেশ্য। সুতরাং সেই মূল উৎস টাকা যেন আমরা সফল করতে পারি এদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, ইনশাআল্লাহ।

পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

অর্ডিনারি আইটি কী?