রাজশাহীর বিখ্যাত আম কোনগুলো ? রাজশাহীর বিখ্যাত আমের নাম
বাংলাদেশ আমের প্রায় 25 টি জাত রয়েছে ।আম সকলের প্রিয় একটি সুমিষ্ট ফল বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষই আম খুব পছন্দ করে ,কিন্তু এই আম বাংলাদেশের সব জায়গায় সব প্রজাতির আম পাওয়া যায় না ।আম উৎপাদন এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে হল রাজশাহী জেলা ।রাজশাহী জেলার আম সকলেই পছন্দ করে এবং খেতে খুবই সুস্বাদু তাই যখন আমের কথা আসে তখন রাজশাহীর বিখ্যাত আম গুলো নিয়ে না বললেই নয়।
রাজশাহীর আম নিয়ে কিছু কথা
সারা বাংলাদেশে আম সরবরাহ করা হয় রাজশাহী জেলা থেকে সবচেয়ে বেশি ।কেননা রাজশাহী জেলার সমস্ত অঞ্চল থেকে প্রচুর পরিমাণে আম সারাদেশে সহ দেশের বাইরে পাঠানো হয়ে থাকে ।রাজশাহী অঞ্চলের সবচেয়ে বিখ্যাত আমের বাগান গুলো রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, রাজশাহী সদরের আশেপাশের অঞ্চল গুলোতে।
আম সাধারণত গ্রীষ্মকালীন মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যেই পাকতে শুরু করে এবং বিভিন্ন জাতের আম বিভিন্ন সময় পাশে থাকে ।তাই চলুন আজকে আপনাদেরকে রাজশাহীর বিখ্যাত আমের নাম সম্পর্কে বলি যে আমগুলো সচরাচর সকলেই খেয়ে থাকে এবং খুবই জনপ্রিয়।
রাজশাহীর বিখ্যাত আমের নাম
রাজশাহীর বিখ্যাত আম কোনগুলো এবং রাজশাহীর বিখ্যাত আমের নাম সম্পর্কে চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-
গোপালভোগ
বছরে আমপাকা শুরুতেই সবথেকে যে আম সবার আগে পাকে সেটি হল গোপালভোগ আম। গোপালভোগ আম এর গাছ অনেক বড় হয় এবং আমের আকার মোটামুটি তবে পাকার পর এর রং খুবই চমৎকার এবং খেতে খুবই সুস্বাদু এবং মিষ্টি ।যেহেতু এই গোপালভোগ আম সবার আগে পাকে তাই এটি মে মাস শুরু থেকে শেষের দিকেই আম টি শেষ হয়ে যায়।
হিমসাগর বা ক্ষিরসাপাত
রাজশাহী অঞ্চলে খিরসাপাত আম নামেই পরিচিত হলেও বিভিন্ন অঞ্চলে হিমসাগর নামে এই আমের পরিচয় ।এটি গোপালভোগ পাকার শেষের মাঝে মাঝে দিকে পাকে । তবে এটি খেতে যেমন সুস্বাদু এবং সারা অঞ্চল জুড়ে এর চাহিদা অনেক বেশি ।এর গাছ মাঝারি বড় ধরনের হয়ে থাকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হিমসাগর আম অনেকটাই বিখ্যাত।
আম্রপালি
আম্রপালি আম গাছ খুব বেশি বড় হয় না এবং আমের আকার মোটামুটি খুব বড় নয় এবং লম্বাটে ।তবে এর ফলন অনেক বেশি ।যদিও এই আম সবাব এর শেষের দিকে পাকে তবুও এর স্বাদ গন্ধ অতুলনীয় এই আম্রপালি আম এতটাই ফলন দেয় যে একটি ছোট গাছ থেকে একটি পরিবারের সকলের চাহিদা মেটানো যাবে । আম্রপালি আমের ব্যবসা করে অনেক ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন।
ফজলি
এই আম সাধারণত অনেকে আচার করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে ,কেননা এই আম কাঁচা অবস্থায় অনেক টক-মিষ্টি হয় যার কারণে অনেকে আচার করেন ।আবার এই আম সবশেষে পাকে যার কারণে শেষের দিকে এর চাহিদাও বেশি হয়ে যায় ,বেশি মূল্য দিয়ে কিনতে হয় ।ফজলি আমের গাছ আকারে অনেক বড় হয় এবং আমের আকার লম্বা-চওড়া এবং অনেক বড় হয়।
আশ্বিনা আম
আশ্বিনা আম ফজলি ,আম্রপালি আমের মতো সবার পরের দিকে পাকতে থাকে ।যার ফলে এটি চাহিদাও পরবর্তীতে বেড়ে যায় এবং বেশি মূল্য দিয়ে কিনতে হয় এই আমের গাছ মাঝারি এবং বড় আকারে হতে পারে ।আমের আকার মাঝারি বড় হয় এবং এই আম পাকা অবস্থায় বাইরে থেকে কাঁচা দেখায় ।অনেকে আশ্বিনা আম দিয়ে আচার করে কারণ এটি খুবই মুখরোচক এবং সুস্বাদু।
ল্যাংড়া আম
রাজশাহীর বিখ্যাত আমের নাম হল ল্যাংড়া ।যাকে কিনা আমের রাজা বলা হয় ,কারণ এই আম কাঁচা অবস্থায় যতটা টক ঠিক পাকা অবস্থায় ঠিক ততটাই সুমিষ্ট এবং রসালো ।এই আকার গোলাকার ও ডিম্বাকার হয়ে থাকে। মে মাসের শেষের দিকে ল্যাংড়া আম পাকা শুরু করে ।ল্যাংড়া আমের আটি এবং খোসা চিকন হওয়ার খুবই রসালো হয়ে থাকে।
আম যেহেতু একটি মৌসুমি ফল সুতরাং সবাই চায় এটি খেতে এবং সেটি যেন ফরমালিন মুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ।তাই আপনারা যদি সেরা এবং খাঁটি আম কিনতে চান তাহলে অবশ্যই রাজশাহী আমবাগানের ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করে করে আম কিনতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার
আরো পড়ুনঃ রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য - কোন ব্লাড গ্রুপের মানুষ কেমন
আশা করছি এই তথ্য সম্বলিত রাজশাহীর বিখ্যাত আম কোনগুলো পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে ।আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন, ধন্যবাদ।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন